Advertisement
Advertisement

Breaking News

gang rape

লাহোরে সন্তানের সামনে ফ্রান্সের যুবতীকে গণধর্ষণ, নির্যাতিতাকেই দোষারোপ পাক পুলিশের

এই ঘটনার পরেই সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

French woman physically assaulted in front of kids in Lahore
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 13, 2020 3:59 pm
  • Updated:September 13, 2020 4:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে কোনও মহিলাই যে সুরক্ষিত নন, তার প্রমাণ আগেই মিলেছিল। ফের সেখানকার বিকৃতকামী কিছু মানুষের লালসার শিকার হলেন ফ্রান্সের এক যুবতী। দুই সন্তানের সামনে ১৫ জনের বেশি দুষ্কৃতী তাঁকে গণধর্ষণ করল। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা এই বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলে তাঁকেই ঘটনাটির জন্য দোষারোপ করা হয়। পরে পুলিশের এই কীর্তির কথা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন লাহোরের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হন হাজারের বেশি মহিলাও।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাহোর (Lahore) -এর উপর দিয়ে গুজরানওয়ালা প্রদেশে যাচ্ছিলেন ফ্রান্সের ওই যুবতী। লাহোর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা তাঁর গাড়ির তেল ফুরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে ফোন করে নিজের বিপদের কথা জানান ওই যুবতী। তারপর স্বামীর পরামর্শ মতো পুলিশকে ফোন করে সাহায্য করার আবেদন জানান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ’, দাবি করে ট্রায়াল চালুর অনুমতি দিল MHRA]

কিন্তু, পুলিশ আসার আগেই সেখানে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক এসে হাজির হয়। তারপর গাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে ওই যুবতীকে বাইরে বের করে তাঁর দুই সন্তানের সামনেই একে একে ধর্ষণ করে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এই পাশবিক ঘটনা ঘটলে পুলিশের কোনও টহলদারি ভ্যানকে দেখা যায়নি। এদিকে নিজেদের বিকৃত লালসা চরিতার্থ করার পর দুষ্কৃতীরা ওই যুবতীর তিনটি এটিএম কার্ড ও সঙ্গে থাকা টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

পরে এই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক উমর শেখকে প্রশ্ন করা হলে ওই যুবতীকেই দোষারোপ করে সে। বলে, ‘পাকিস্তানের কোনও পুরুষ তাঁদের বোন এবং মেয়েদের রাতে একা বাইরে বেরোতে অনুমতি দেবেন না। ওই ধর্ষিতার উচিৎ ছিল অন্য কোনও নিরাপদ রাস্তা বেছে নেওয়া বা দিনে যাতায়াত করা। না হলে ফ্রান্সের (France) মতো পাকিস্তানেও মহিলারা খুব সুরক্ষিত।’

তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের এই বক্তব্যের কথা জানাজানি হতেই প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে পাকিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য। পোস্টার হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন হাজারের বেশি মহিলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর তারপরই ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে লাহোর পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ’, দাবি করে ট্রায়াল চালুর অনুমতি দিল MHRA]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ