Advertisement
Advertisement

Breaking News

সৌম্যা স্বামীনাথন

“করোনার ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন সহজ নয়, বহু সময় লাগবে”, আশঙ্কা WHO’র গবেষকের

ভ্যাকসিন তৈরি একটি জটিল এবং দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া, বলছেন ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন।

Herd immunity, billions of vaccine doses will take time, says WHO

ফাইল চিত্র।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 25, 2020 10:12 am
  • Updated:July 25, 2020 10:12 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র তত্ত্ব নিয়ে এবার বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। তাঁর মতে করোনার মতো রোগের ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন করা সহজ নয়। সেজন্য অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ মানুষের শরীরে এর অ্যান্টিবডি প্রয়োজন। যা প্রাকৃতিক উপায়ে অর্জন করতে হলে আরও বহু মানুষকে এই রোগে আক্রান্ত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বহু মানুষের মৃত্যুও হবে।

শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ার এক অনুষ্ঠানে WHO‘র প্রধান গবেষক বলেন,”‘হার্ড ইমিউনিটি’, অর্থাৎ গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা অর্জন করতে এখনও বহু সময় লাগবে। কারণ, সেজন্য অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হতে হবে। তবেই আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে এর ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারব। এবং এর শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে পারব। কিন্তু এর থেকে অনেক সহজ হবে টিকা আবিষ্কার করা। যাতে মানুষ অসুস্থ না হয়। কারও মৃত্যু না হয়। কারণ, প্রাকৃতিক উপায়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে করোনা সংক্রমণের আরও একাধিক পর্যায় আসতে হবে। আরও বহু মানুষকে সংক্রমিত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরও বহু মানুষের প্রাণও যাবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি সামলে নেবে ভারত, উদ্বেগের মধ্যেও সাহস জোগাচ্ছে WHO’র মন্তব্য]

উল্লেখ্য, গবেষকদের একাংশের মতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় বহু মানুষের শরীরে এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। যার ফলে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে যাবে এবং সংক্রমণ নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এই পর্যায়কেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন বলছেন, এই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ অর্জন সহজ নয়। কারণ, যে দেশগুলিতে করোনা প্রচুর পরিমানে ছড়িয়েছে সেখানেও খুব বেশি হলে ২০ শতাংশ মানুষের শরীরে এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বাকি বেশিরভাগ দেশেই সংখ্যাটা ৫-১০ শতাংশ। তিনি বলছেন, হার্ড ইমিউনিটির ধারেকাছে যেতে হলে আমাদের আরও অন্তত ১ বছর সময় লাগবে। তার চেয়ে ভাল ভ্যাকসিন তৈরি করা। ডঃ স্বামীনাথন জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে ২০০টি সংস্থা এখন ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। এর মধ্যে দু’একটি ওষুধ এবছরের শেষেই চলে আসতে পারে। কিন্তু আমাদের গোটা বিশ্বের জন্য কোটি কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন। যেটা তৈরি করতে সময় লাগবে। ভ্যাকসিন তৈরি একটি জটিল এবং দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ