Advertisement
Advertisement
পাকিস্তান

ইসলামের ‘অবমাননা’, পাকিস্তানে জ্বলল হিন্দুদের ঘর

গ্রেপ্তার হিন্দু চিকিৎসক।

Hindu doctor arrested on blasphemy charges in Pakistan
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 30, 2019 9:16 am
  • Updated:May 30, 2019 9:16 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের অপমান করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না তাঁর। কিন্তু পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের এক হিন্দু চিকিৎসকের রোগীকে ওষুধ দেওয়াকে ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠল গোটা এলাকা। ভুলবশত কোরানের পাতায় মুড়ে রোগীকে ওষুধ দিয়ে ফেলেন তিনি৷ বিষয়টি নজরে আসে এক মৌলবীর| তারপরই সে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ আনে| তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি৷ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সিন্ধ প্রদেশের হিন্দুদের দোকানে। সোমবার ঘটনার সূত্রপাত হলেও পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি। শুধু দোকানে নয়, ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় বিভিন্ন গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে তৃতীয়বার দাপট দেখাল টর্নেডো, তছনছ আমেরিকার দুই প্রদেশ]

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ওই হিন্দু চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত চিকিৎসকের নাম রমেশ কুমার। স্থানীয় ধর্মগুরুর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাতেও উত্তেজনা কিছুতেই কমেনি। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের পদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, হিন্দুদের দোকানে যারাই আগুন লাগিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জোর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। প্রশাসনও পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। তদন্তকারী দলের অফিসার জানিয়েছেন, দোষীদের রেয়াত করা হবে না। যারাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হিংসা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সিন্ধ প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে হিন্দুদের বাস। সেই কারণে, হিন্দুদের উপর যাতে কোনওরকম অত্যাচার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ইসলাম অবমাননার দায়ে চার সন্তানের জননী আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে ওই আইনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তারপরই বিশ্বজুড়ে ওঠে তীব্র প্রতিবাদের ঝড়। অবশেষে চাপে পড়ে ২০১৮ সালে মৃত্যুদণ্ড থেকে তাঁকে রেহাই দেয় পাক সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এমনকি আসিয়া বিবিকে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়৷ তারপর গোপনে কানাডা পাড়ি দেন আসিয়া। সংখ্যালঘুদের নিশানা করতে বরাবরই পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহ আইন ব্যবহার করে আসছে মৌলবাদীরা। বহুক্ষেত্রে হিন্দু বা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ আনে পড়শি মুসলিমরাই। এমনই এক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন আসিয়া বিবি।

[আরও পড়ুন: মোদির জয়ের পরই ভোলবদল, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘টাইম’ ম্যাগাজিন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ