Advertisement
Advertisement

গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনের ৬ মাস পূর্তি, হংকং যেন জনসমুদ্র

হংকং জুড়ে শুধু আনন্দ আর উদযাপনের রেশ

Hong Kong celebrates six months of mass agitation
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 9, 2019 10:25 am
  • Updated:December 9, 2019 10:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার জনসমুদ্রে ভাসল এশিয়ার বিলাসবহুল শহর হংকং। হংকং জুড়ে শুধু আনন্দ আর উদযাপনের রেশ। বাসিন্দারা খুশিতে ডগমগ। শহরের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা উদযাপন করলেন গণআন্দোলনের ছয় মাস পূর্তি। এতদিন যে প্রতিবাদ বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় সীমাবদ্ধ ছিল, তা ছড়িয়ে পড়েছে হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে অফিস, রাস্তা, পার্কে। তা হল, শাসক চিনের লাল চোখকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চিনকে চ‌্যালেঞ্জ করে হংকংয়ে উদার গণতন্ত্র বজায় রাখা। গত জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া এই গণআন্দোলন পূর্ণ করল তার ৬ মাস। আর সেই উপলক্ষে রবিবার ফের হংকং-এর রাস্তা ভেসে গেল প্রতিবাদী কণ্ঠের জনসমুদ্রে।

এদিন হংকং-এর নাগরিক অধিকার মঞ্চের তরফে ডাকা হয় এই মহামিছিল। আহ্বানে সারা দিয়ে এদিন ফের রাস্তায় নামেন লক্ষ লক্ষ গণতন্ত্রকামী মানুষ। যদিও হংকং পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, মিছিল শুরুর আগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ মিলিমিটারের সেমি অটোমেটিক পিস্তল। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্ত্র। পুলিশের দাবি, মিছিলে যোগ দিয়ে যাতে কোনও ধরনের অশান্তি না ছড়াতে পারে তার জন্য এদিন এই বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালায় প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা। হংকংয়ের জেলা কাউন্সিলদের রাজনৈতিক ক্ষমতা খুব একটা বেশি নয়। বাসরুট, জঞ্জাল সাফাইয়ের মতো বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা। ফলে, স্থানীয় স্তরের এই নির্বাচনে লোকজন খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেন না। কিন্তু এ বার ২৯ লক্ষ ৪০ হাজার লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছেন, ২০১৫ সালে সংখ্যাটা যেখানে ছিল মাত্র ১৪ লক্ষ! ৬০ শতাংশ ভোট গিয়েছে গণতন্ত্রপন্থীদের ঝুলিতে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল রদ করার কথা ঘোষণা করেন হংকংয়ের নিরাপত্তা মন্ত্রী জন লি৷ তবে এতেও থামেনি বিক্ষোভ৷ পালটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আরও জোরদার হয়ে উঠে আন্দোলন৷ উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ‘2019 Hong Kong extradition bill’ নামের একটি বিল আনে ক্যারি ল্যামের প্রশাসন৷ বিলটি আইনে পরিণত হলে অপরাধীদের চিনের হাতে সঁপে দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসত হংকং প্রশাসনের হাতে৷ গণতন্ত্রের বারুদে এই প্রস্তাবই কার্যত স্ফুলিঙ্গের কাজ করে৷ প্রবল জনমত বিস্ফোরণ ঘটে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটিতে৷ কম্যুনিস্ট চিনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বচসার জেরে মাদার টেরেজার প্রাক্তন সহযোগীকে খুন, যাবজ্জীবন ধৃতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ