Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

লাদাখে বেকায়দায় ‘ড্রাগন’, রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আরজি চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার কড়া জবাবে এবার বেকায়দায় 'ড্রাগন'।

India China Ladakh defence minister meet Russia
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 4, 2020 8:58 am
  • Updated:September 4, 2020 9:01 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার কড়া জবাবে এবার বেকায়দায় ‘ড্রাগন’। সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি চুশুল সেক্টরে দক্ষিণ প্যাংগং লেক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকার পুরোপুরি দখল নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। আর এতেই সুর নরম করে আলোচনার টেবিলে বসতে চাইছে চিন।

[আরও পড়ুন: সীমান্তে সিঁদুরে মেঘ, সংঘাতের আবহে লাদাখ সফরে সেনাপ্রধান নারাভানে]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মস্কোয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে আরজি জানিয়েছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংগে। সীমান্তে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে ও সেনা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বৈঠকে সবুজ সংকেত দিয়েছে সাউথ ব্লক। শুক্রবার অর্থাৎ আজ এই বৈঠক হওয়ার কথা। উলেখ্য, তিনদিনের ‘Shanghai Cooperation Organisation’ সামিটে অংশ নিতে গত বুধবার রাশিয়া পৌঁছন রাজনাথ সিং। তবে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনও বৈঠক তাঁর কর্মসূচীতে ছিল না।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, চিন-ভারত সংঘাত মেটাতে পর্দার আড়ালে থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। বেজিং আর নয়াদিল্লি দুইয়ের উপরই প্রভাব থাকায় এই কাজে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে মস্কো। আর সাউথ ব্লকও চাইছে রুশ হস্তক্ষেপে বিবাদ মেটাতে। কিন্তু পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনা সেনা না সরায় কড়া অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে সংঘর্ষের আবহে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকরা। এছাড়া, প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে পিছপা হবে না দেশ সেই কথাও সাফ করে দিয়েছেন ভারতের সামরিক কর্তারা। দক্ষিণ প্যাংগং লেক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় ফৌজের পদক্ষেপ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এই বার্তা সাফ বুঝতে পেরেছে চিন। বেজিং ভাবেনি কয়ক দশকের ‘সহিষ্ণুতার’ নীতি পালটে এভাবে কড়া জবাব দেবে ভারত।

Advertisement

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, সীমান্তে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ হয়ছে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। তবে আলোচনার কথা বললেও নয়াদিল্লি যে সামরিক পদক্ষেপ থেকে পিছপা হবে না তা ইতিমধ্যেও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে আগস্ট ২৯ ও ৩০ তারিখে। একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান বদলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে এগিয়ে আসে প্রায় ২০০ চিনা সৈনিকের একটি দল। তবে এবার প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। আগ্রাসন প্রতিহত করে এতদিন পর্যন্ত ফাঁকা পড়ে থাকা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। বেগতিক দেখে পিছিয়ে যায় লালফৌজ।

[আরও পড়ুন: নোট বাতিলের ভয়াবহ ফল এখনও ভুগতে হচ্ছে, জিডিপি নিয়ে ফের তোপ রাহুলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ