সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দাপটে ছারখার গোটা বিশ্ব। লকডাউনের গেঁরোয় আটকে অর্ধেক পৃথিবী। যেন থমকে গিয়েছে সময়! এমন সংকটকালীন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বকে যে শিল্পের সুতোয় বাঁধা সম্ভব তা দেখিয়ে দিলেন সুইজ্যারল্যান্ডের আলোকশিল্পী গ্যারি হফস্টেটার। তাঁর আলোকসজ্জায় বিশ্বখ্যাত আল্পসের অংশ ম্যাটারহর্নের চূড়োয় ফুটে উঠছে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা। শুক্রবার রাতে সেই শ্বেতশুভ্র বরফচূড়ায় ফুটে উঠেছিল ভারতের তেরঙা পতাকা। গর্বের সেই মুহূর্তের ছবি টুইটারে পোস্ট করেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ফরেন সার্ভিসের আধিকারিক গারলিন কৌর। লেখেন, “ভারতের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সুইজারল্যান্ড।”
Switzerland expresses solidarity with India in its fight against #COVID19. Swiss mountain of #Matterhorn lit in tricolour. Friendship from Himalayas to Alps 🇮🇳🏔🇨🇭
Thank you @zermatt_tourism#Together_against_Corona @IndiainSwiss @MEAIndia @IndiaUNGeneva pic.twitter.com/O84dBkPfti— Gurleen Kaur (@gurleenmalik) April 18, 2020
[আরও পড়ুন : করোনায় কাহিল পাকিস্তান, ১৪০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য দিল IMF]
মহামারির দাপটে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। ব্যবস্থা নিয়েও মৃত্যুমিছিল রোখা যাচ্ছে না। সমস্ত পুরানো শত্রুতা ভুলে মারণ জীবাণুর বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলি্য়ে লড়াই করছে সমস্ত দেশ। এমন পরিস্থিতি প্রতিটি রাষ্ট্রের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে উদ্যোগী হয়েছেন আলোকশিল্পী গ্যারি হফস্টেটার। আল্পসের দেশ সুইজ্যারল্যান্ড ও ইটালির সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে ম্যাটারহর্ন পর্বত। যার উচ্চতা প্রায় ১৪,৬৯০ ফুট। সেই পর্বতের গায়ে আলোকসজ্জায় প্রায় ৮০০ মিটার উঁটু পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। দূর থেকে অপূর্ব লাগছিল সেই দৃশ্য।
[আরও পড়ুন :বিপদের দিনেও অন্য রাষ্ট্রকে সাহায্য, ভারতকে ‘স্যালুট’ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের]
সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকেও করোনা যুদ্ধে বিশ্বের অন্য দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। কাউকে প্রয়োজনীয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়েছে তো কাউকে পৌঁছে দিয়েছে খাবার। বিপদের দিনেও বিমানে করে ইউরোপের দেশগুলিতে শাক-সবজি পৌঁছে দিয়ে এসেছে। ভারতের এহেন ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে রাশিয়া থেকে আমেরিকা, ইউরোপ থেকে জাপান। এবার শিল্পের মাধ্যমে ভারতকে সম্মান জানালেন সুইজারল্যান্ডের ওই শিল্পী। তাঁর কথায়, “আলো আশার প্রতীক। এমন মহামারি পরিস্থিতিতে আলোর বার্তা দেওয়ার অর্থ আশা জাগানো। মানব সভ্যতার চেয়েও প্রাচীন এই পর্বতমালা। একাধিক মহামািরির সাক্ষী। তাই তার গায়েই শিল্পকার্য করে গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করলাম।” আর তাঁর শিল্পকর্মের ছবি টুইটারে পোস্ট করে ভারতীয় ফরেন সার্ভিসের আধিকারিকের বার্তা, “আল্পস থেকে হিমালয় পর্যন্ত বন্ধুত্ব।”