Advertisement
Advertisement
jaishankar

‘নেপালের সংবিধান গ্রহণে বাধা দিয়েছিলেন মোদির দূত জয়শংকর’, ফের বোমা ফাটালেন ওলি

২০১৫ সালে নতুন সংবিধান গ্রহণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নেপাল।

Jaishankar warned us against adopting Constitution in 2015, says K.P. Sharma Oli | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 21, 2021 10:52 am
  • Updated:September 21, 2021 10:52 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন নেপালের (Nepal) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এবার তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালে নেপালের সংবিধান গ্রহণে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অসন্তোষ’ বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশ সচিব এস জয়শংকর।

[আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর ইসলামিক স্টেটকে হুমকি তালিবানের, এবার জেহাদিদের মধ্যে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা]

রবিবার নিজের দল ‘Nepal Communist Party (UML)-এর স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে একগুচ্ছ ‘কূটনৈতিক নথি’ জমা দেন ওলি। সোমবার বা গতকাল সংবিধান গ্রহণের বর্ষপূর্তি ছিল। সেই অনুষ্ঠান পালনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। জানা গিয়েছে, ওলি জমা দেওয়া নথিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হয়ে নেপালে এসেছিলেন এস জয়শংকর। সংবিধান গ্রহণ করলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। নেপালের রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংবিধান গ্রহণ করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”

Advertisement

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫-এ নতুন সংবিধান গ্রহণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নেপাল। তবে নয়া সংবিধানে পাহাড়ি দেশটির তরাইয়ের মদেশীয় সম্প্রদায়ের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রায় এক মাস ধরে প্রবল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মদেশীয়রা। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত-নেপাল সীমান্ত বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। যার জেরে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় নেপালের অর্থনীতি।

Advertisement

উল্লেখ্য, গোড়া থেকেই চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে যেমন বিবাদে জড়িয়েছেন ওলি। একের পর এক ভিত্তিহীন মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি। এককালের বন্ধু পুষ্পকমল দাহালের সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরে ওলির। ফলে দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ। ফলে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে শেরবাহাদুর দেউবা বসায় আপাতত অনেকটাই স্বস্তিতে নয়াদিল্লি।

[আরও পড়ুন: করোনা টিকার জোড়া ডোজ নিয়েও রেহাই নেই, ব্রিটেন গেলে ভারতীয়দের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ