Advertisement
Advertisement
Myanmar

সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে নারাজ জাপান, মায়ানমারকে দেওয়া ত্রাণে রাশ টানল টোকিও!

মায়ানমারে ফের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে জাপান।

Japan may stop aid to Myanmar after army coup, says sources | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 26, 2021 1:44 pm
  • Updated:February 26, 2021 1:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে নারাজ জাপান। সেনাশাসকদের শায়েস্তা করতে এবার পাহাড়ি দেশটিকে দেওয়া ত্রাণে লাগাম টানতে চলেছে টোকিও বলে খবর।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধ জর্জর সিরিয়ার পাশে দাঁড়াল ভারত, ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য নয়াদিল্লির]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক সূত্রে খবর, মায়ানমারের ফের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছে জাপান। ইতিমধ্যে সেনা অভ্যুত্থানে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বের উন্নত ৭টি অর্থনীতি। এবার সেই তালিকায় নাম জাপানেরও। পাশাপাশি, কাউন্সিলর আং সান সু কি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের মুক্তির দাবিও জানিয়েছে সুগা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, পরিকাঠামো নির্মাণ ও করোনা মহামারী মোকাবিলায় মায়ানমারকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক মদত দেয় টোকিও। ফলে সেই ত্রাণে রাশ টানলে অনেকটাই বিপাকে পড়বে নাইপিদাও। এর ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকেও। কারণ আর্থিক মদত না পেলে করোনা কালে জনসাধারণের কাছে চিকিৎসার সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হবে না বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োদ জানিয়েছে, মায়ানমারকে দেওয়া করোনা সংক্রান্ত ত্রাণ বন্ধ করবে না জাপান সরকার।

Advertisement

উল্লেখ্য, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। কয়েকদিন আগেই দেশটির সেনাশাসকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস। তিনি সাফ বলেন, অবিলম্বে বার্মিজ সেনা যেন দেশের নেতা-নাগরিকদের উপর দমনমূলক নীতি প্রত্যাহার করে নেয়। বলে রাখা ভাল, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ দেশের দখল নেয় মায়ানমারের সেনাবাহিনী। ভোটে কারচুপির অভিযোগে বন্দি করা হয় প্রশাসক আং সান সু কি-সহ গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিনিধিদের। ‘দেশের স্বার্থেই’ এই পদক্ষেপ বলে দাবি করে সেনাবাহিনী। এমনকী, প্রথম সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেই অর্থে কোনও কড়া পদক্ষেপও করেনি টাটমাদাও। সূত্রের খবর, দেশটির সেনাপ্রধান মিন আং হ্লাইং ও তাঁর সামরিক আধিকারিকরা মনে করেছিলেন, শুরু থেকেই সেনাশাসনে অভ্যস্ত মায়ানমারের জনতা। তাই প্রাথমিক উত্তেজনা ও প্রতিবাদ কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ঘটনাবলী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের, প্রশংসা রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ