Advertisement
Advertisement

Breaking News

কিমের ক্ষেপণাস্ত্র থামানোর মহড়ায় নামল আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া

উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিতেই মহড়া, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

Japan, US, South Korea hold missile tracking drill amid North Korea crisis
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 10, 2017 12:28 pm
  • Updated:September 20, 2019 1:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কীভাবে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করতে হবে, থামতেই বা হবে কীভাবে, এবার এই নিয়ে ব্যাপক যৌথ সামরিক মহড়ায় নামল আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দু’দিনের এই মহড়া শুরু হল সোমবার থেকে। উত্তর কোরিয়ার লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি ও একের পর এক পরীক্ষার পর এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না মার্কিন মিত্র দেশগুলি। আমেরিকাও চাইছে না উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত হুমকির মুখে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকুক সিওল বা টোকিও। তবে এই মহড়ায় মহা বিতর্কিত মার্কিন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ‘থাড’ ব্যবহার করা হবে কি না, জানাতে চায়নি জাপানের প্রতিরক্ষা বিভাগ।

[উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা আমেরিকার, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জাপানের]

এই প্রথম নয়, হপ্তাখানেক আগেও আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া একযোগে ব্যাপক সামরিক মহড়া সেরেছে। যাকে উত্তর কোরিয়া ‘প্রত্যক্ষ যুদ্ধের অশনি সঙ্কেত’ বলে মন্তব্য করেছে। কয়েকদিন আগেই জাপানের উপর দিয়ে একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে ওয়াশিংটন কড়া বার্তা দিয়েছে পিয়ংইয়ং। হুমকি দিয়েছে, এর পরও আমেরিকা নিজেদের সংযত না করলে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ছাইয়ে পরিণত করা হবে আমেরিকাকে। ২৯ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে সতর্কবার্তা দেন, ‘এই মিসাইল আমেরিকার বুকে আছড়ে পড়লে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।

Advertisement

missile korea

Advertisement

[ট্রাম্পকে গুন্ডা, যুদ্ধপিপাসু বলে আক্রমণ উত্তর কোরিয়ার]

পালটা আমেরিকাও রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানায়, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রত্যেকটি দেশ তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বয়কট করুক। চিনের উপরেও চাপ বাড়ায়। এই চিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে ‘থাড’ বা ‘টার্মিনাল হাই অ্যাল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ সিস্টেম বসানোর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। চিন মনে করে এতে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হবে। তবে চিনের দাবিতে কান না দিয়ে আমেরিকা মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে মার্কিন সেনার সংখ্যা বাড়াতে থাকে। ১৯৫০-৫৩-র কোরীয় যুদ্ধের পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা। সেই সেনার সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮,৫০০-তে।

[হামলা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া, ভয়ে কাঁটা জাপান]

খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে উত্তর কোরিয়ার রাজতন্ত্রকেই ধ্বংস করে দেওয়া হবে।  দক্ষিণ কোরিয়াও নতুন করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সবরকমের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এরকম টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতিতে আজকের মহড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হলে উত্তর কোরিয়ার নগদের জোগানে টান পড়বে। তখন হয়তো প্রতিদিনই কোনও না কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুকি দেওয়ার মতো সাহস তাদের থাকবে না।

korea

[উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমাই কি ডেকে আনবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ