Advertisement
Advertisement
Joe Biden

শীঘ্রই চিনের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন, মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় ‘শত্রু’র সঙ্গে আপসের পথে আমেরিকা?

দুই মহাশক্তির লড়াইয়ে কি সূচনা হচ্ছে নয়া অধ্যায়ের?

Joe Biden says he plans to talk to Xi Jinping। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 22, 2022 10:02 am
  • Updated:June 22, 2022 10:02 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির দাপটে বেকায়দায় আমেরিকা। ফলে চাপ ক্রমেই বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের উপরে। এই পরিস্থিতিতে ‘শত্রু’ চিনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কার্যত আপসের ইঙ্গিত ওয়াশিংটনের। শিগগিরি তিনি শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। পাশাপাশি চিনের (China) পণ্য আমদানির উপরে চাপানো করের বোঝা লাঘব করার ইঙ্গিতও দিচ্ছে আমেরিকা (US)। যা থেকে পরিষ্কার, মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলাতেই এমন পদক্ষেপের কথা ভাবছে মার্কিন মুলুক।

বাইডেন জানিয়েছেন, ”প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু আমরা এখনও কোনও সময় নির্ধারণ করে উঠতে পারিনি।” ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, যে কোনও সময়ই এই বৈঠক হতে পারে। এর আগে ১৮ মার্চ কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। সেই সময় অবশ্য বাইডেন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন চিনকে। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করলে তার ফল ভুগতে হবে বেজিংকে। কিন্তু এবারের বৈঠকে আমেরিকার সুর ‘নরম’ থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্ল্যাকবোর্ড নয়, ব্ল্যাকমানি নিয়েছেন! শুভেন্দুকে পালটা খোঁচা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের]

বলে রাখা ভাল, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চিনা আমদানির উপরে ২৫ শতাংশ করের বোঝা চাপানো হয়েছিল। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিনের ‘অনৈতিক’ বাণিজ্যিক নীতিক জন্যই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ‘জরিমানা’ হিসেবে। সেই করের নির্ধারিত করের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুলাই মাসে। মনে করা হচ্ছে, সেটি আর বহাল রাখা হবে না। বরং করের বোঝা কমিয়ে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর দিকেই এগোবে আমেরিকা। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন কোষাগার সচিব জেনেট ইয়েলিন। তাঁর মতে, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

Advertisement

আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্যিক লড়াই নতুন নয়। ডলার ও ইউয়ানকে ‘হাতিয়ার’ করেই বিশ্ববাণিজ্যে একে অপরকে টেক্কা দিতে মরিয়া দুই দেশ। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমাগত চিনের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিতে দেখা দিয়েছিল তাঁকে। তাঁর চাপানোর শুল্কের ধাক্কায় বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল চিনা সংস্থাগুলিকে। বেজিংয়ের অভিযোগ ছিল, এই করের বোঝা অবৈধ। কিন্তু সময় বদলেছে। আমেরিকার মসনদে এখন বাইডেন। করোনার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় তলানিতে মার্কিন অর্থনীতি। এবার তারই ফলশ্রুতি হিসেবে দুই মহাশক্তির বাণিজ্যিক লড়াইয়ের নয়া অধ্যায় শুরু হতে চলেছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

[আরও পড়ুন: অগ্নিপথ নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাক বিজেপি, চান মোদি, অস্বস্তিতে গেরুয়া নেতারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ