সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর নিষ্ফল অক্রোশে ফুঁসছে পকিস্তান। কাশ্মীরের পাশে থাকার দাবি নিয়ে রাজনীতিবিদ তো বটেই, পাক তারকা বা খেলোয়াড়রাও মুখ খুলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের দেশকে বাস্তবের সম্মুখীন করলেন এক ইমাম। তিনি সরাসরি বললেন, কাশ্মীর কোনও দিনই পাকিস্তানের অংশ ছিল না। এনিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে যে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে ইসলামাবাদ, তার কোনও ভিত্তিই নেই।
[ আরও পড়ুন: উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবাকে খুনের অভিযোগ, চার্জ গঠন কুলদীপের বিরুদ্ধে ]
একদিকে যখন পাকিস্তানের পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিধারীরা জঙ্গিদলে নাম লেখাচ্ছেন, তখন অন্যদিকে স্পষ্ট কথা বলে সততার নজির সৃষ্টি করলেন পাকিস্তানেরই এক ইমাম। তাঁর নাম মহম্মদ তাহিদি। সোশ্যাল সাইটে নিজেকে ‘Peace Advocate’ বলে দাবি করেন তিনি। স্পষ্ট কথা বলতে তাঁর কোনও দ্বিধা নেই। তাই বিরুদ্ধাচরণ হবে জেনেও ইমাম টুইটারে কার্যত ভারতের হয়েই কথা বললেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “কাশ্মীর কখনও পাকিস্তানের অংশ ছিল না। কখনও পাকিস্তানের অংশ হতেও পারে না। বরং পাকিস্তান ও কাশ্মীর, দু’টোই ভারতের অংশ। হিন্দু থেকে মুসলিম হলেই সত্য অস্বীকার করা যায় না। গোটা এলাকাটাই হিন্দুদের।” কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, একথা বারবার বলেন ইমাম মহম্মদ।
Kashmir was never part of Pakistan. Kashmir will never be part of Pakistan.
Both Pakistan and Kashmir belong to India. Muslims converting from Hinduism to Islam doesn’t change the fact that the entire region is Hindu Land. India is older than Islam let alone Pakistan. Be honest..— Imam Mohamad Tawhidi (@Imamofpeace) August 11, 2019
অবশ্য এই প্রথমবার নয়। এর আগেও কাশ্মীর নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। সেবারও বলেছিলেন কাশ্মীর হিন্দুদের। কখনও এই রাজ্য পাকিস্তানের অংশ নয়। ভারতে যখন তিনি এসেছিলেন, তখনও একই কথা বলেছিলেন। তবে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে পাকিস্তান ক্রমাগত বলে আসছে কাশ্মীরবাসীর পাশে রয়েছে তারা। বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত সরকার কাশ্মীরবাসীর নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইমাম মহম্মদের এমন বক্তব্য নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে একটি বড় ধাক্কা।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এখনও কাশ্মীর থেকে সে অর্থে বড় কোনও হিংসার খবর আসেনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম অবশ্য বেশ কয়েকটি সংগঠিত বিক্ষোভ হয়েছে বলে দাবি করেছে। কিন্তু, সেসব দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারত সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্ন হিংসার খবর এলেও, কোনওটিতেই ২০ জনের বেশি লোক জড়ো হয়নি। এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভ দমন করতে একটি বুলেটও খরচ করতে হয়নি সেনাবাহিনীকে।