সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা করোনাসুরের তাণ্ডবে বিপযর্স্ত হওয়ার পরেও নিজের পুরনো স্বভাব বদলাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) । নিজের দেশে যখন মারণ ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুমিছিল চলছে তখন ফের ভারত ও চিনের ঝামেলায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন তিনি। আবার সেই আগের মতোই বিশ্বের যে কোনও বিষয়ে মাথা গলিয়ে সেটা মীমাংসা করতে চেষ্টা করলেন। কিছুদিন আগেই চিনের বিরুদ্ধেই লাদাখের ঘটনা নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধিরা যে কথা বলছিলেন তা থেকে পুরো বদলে গেল অবস্থান।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হওয়া সাংবাদিক বৈঠকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কাইলি ম্যাকনানি (Kayleigh McEnany) ভারত ও চিনের সমস্যা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট খুব উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন। এপ্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি ভারতের মানুষকেও ভালবাসি এবং চিনের মানুষকেও ভালবাসি। মানুষকে শান্তিতে রাখতে যা কিছু করা সম্ভব আমি তাই করতে চাই।’
[আরও পড়ুন: রাম নিয়ে নাছোড় নেপাল, ওলির দাবির পর অযোধ্যা খুঁজতে শুরু খননকার্য]
যদিও তার কিছুক্ষণ আগে হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলোর মুখে কিন্তু অন্য সুর শোনা গিয়েছিল। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যে এখন খুব দৃঢ় সেকথা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত আমাদের খুব ভাল সঙ্গী। আর রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একজন খুব ভাল বন্ধু।’ আর বুধবার তো মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও লাদাখে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে পুরোপুরি ভারতের সমর্থনেই মুখ খুলেছিলেন। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বরাবরই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে যে বিবাদ চলছে তা নিয়েও ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে চিনের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলি যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে তার ঝুঁকি নিয়েও।