Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hindu girl kidnapped

পাকিস্তানে ফের অনাচার! হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে যুবকের

মেয়েটির পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ইমরানের প্রশাসন।

Minor Hindu girl kidnapped, forcefully married in Pakistan । Sangbad Pratidin

পরশা কুমারী ও আবদুল সাবুর

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 19, 2020 5:45 pm
  • Updated:September 19, 2020 5:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছিল ভারত। পৃথিবীর মধ্যে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় পাকিস্তান নজির গড়েছে বলেও কটাক্ষ করেছিল। সেই কথা যে কোনও অংশে মিথ্যে নয় ফের তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ১৪ বছরের একটি কিশোরীকে অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ করিয়ে বিয়ে করল এক মুসলিম যুবক। মেয়েটির পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ইমরানের প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ বছরের ওই কিশোরীর নাম পরশা কুমারী (Parsha Kumari)। সম্প্রতি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মোরি (Mori) জেলার খারিরপুর বাসিন্দা ক্লাস নাইনের ওই কিশোরীকে অপহরণ করে আবদুল সাবুর (Abdul Saboor) নামে ওই এলাকার এক মুসলিম যুবক। তারপর জোর করে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে করে। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তার জন্মের শংসাপত্র নিয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত কমপক্ষে দুই, জখম ১৬ ]

পরে জানা যায়, আবদুল সাবুর নামে ওই অপহরণকারী যুবক স্থানীয় আদালতে পরশা কুমারীর নামে একটি ভুয়ো হলফনামা জমা দিয়েছে। যাতে ওই কিশোরীর বয়স ১৮ বছর উল্লেখ করে সে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও মেয়েটির পরিবারের কাছে থাকা কাগজ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর জন্ম হওয়া পরশা কুমারীর বয়স বর্তমানে ১৪ বছর। এবং সে ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করে।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছে নয়াদিল্লি। গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৫তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়েও এই বিষয়ে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেন ভারতীয় প্রতিনিধি। বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানে প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছেন হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টানরা সম্প্রদায়ের মানুষরা। ওই দেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার বলে কিছু নেই। নিজেদের দেশের দিকে না তাকিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ পাকিস্তান করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে দেশ নিজের সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেয়, তাদের ভারত কেন, কোনও দেশকেই উপদেশ দেওয়ার অধিকার নেই। ধর্মের অবমাননা আইন, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন, গুপ্তহত্যা, গোষ্ঠী সংঘর্ষের ও ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে হাতিয়ার করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে পাকিস্তান। হাজার হাজার হিন্দু ও শিখ নারীকে অপহরণ করে ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে।’

[আরও পড়ুন: ‘গা জোয়ারি করছে আমেরিকা’, মার্কিন মুলুকে টিকটক-উই চ্যাট ব্লক হওয়ায় তোপ চিনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ