Advertisement
Advertisement

আগ্নেয়গিরির চূড়ায় শান্তির বার্তা দিলেন কিম

হাত মেলালেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে৷

N Korea’s Kim shakes hand with S Korean counterpart
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 21, 2018 7:54 pm
  • Updated:September 21, 2018 7:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনব শান্তি বার্তা দিলেন দুই কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। উত্তর কোরিয়ার পবিত্র আগ্নেয়গিরির চূড়ায় দাঁড়িয়ে হাতে হাত মিলিয়ে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার করলেন উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। উত্তর কোরিয়া-চিন সীমান্তের কাছে এই আগ্নেয় পর্বত কমিউনিস্ট কোরিয়ার মানুষদের কাছে খুব পবিত্র। সেখানেই ফোটো সেশন করলেন দুই প্রেসিডেন্ট। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ এখন শীতল, শান্ত। জ্বালামুখে তৈরি হয়েছে বড় হ্রদ। মাথার উপর নীলাকাশ। এই প্রেক্ষাপটের সামনেই পোজ দেন যুযুধান দেশের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। মুহূর্তে সেই ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। আসলে প্রেক্ষাপট ছিল প্রতীকী। শান্ত সুপ্ত
আগ্নেয়গিরির সামনে প্রতিজ্ঞা, আর যুদ্ধ নয়, স্থায়ী শান্তি চাই।

[সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভ্রান্ত করছেন ইমরান, রাষ্ট্রসংঘে সরব কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মীরা]

Advertisement

এই ঘটনার আগে চুক্তি সই হয় দুই কোরিয়ার মধ্যে। দুই কোরিয়ার চুক্তি সইয়ের পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট, ‘‘পরমাণু বিশেষজ্ঞদের ঢুকতে দিতে রাজি হয়েছেন কিম জং উন। আর এর মধ্যে কোনও রকেট বা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নয়। উনি এখনও নায়ক…।’’ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও উৎক্ষেপণে দেশের অন্যতম প্রধান একটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার পাকা কথা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বুধবার দুই দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানও ১৭ পাতার চুক্তি সই করেন। তাতে বলা রয়েছে, পরস্পরের বিরুদ্ধে সব রকমের হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ হবে। এই সূত্রেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন বলেছেন, ‘‘কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি করার মতো সব রকম আশঙ্কা মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ।’’ দুই প্রেসিডেন্ট যে যে বিষয়ে একমত হয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে- ২০৩২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজনে দুই দেশই সক্রিয় ভূমিকা নেবে, আগামী বছরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে তৈরি হবে রেল ও সড়ক যোগাযোগ, ১ নভেম্বরের মধ্যে দু’দেশের সামরিক বিভাজন রেখা বরাবর মহড়া বন্ধ করা হবে, এ বছরের শেষে অসামরিক এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের ১১টি ছাউনি সরিয়ে দেওয়া হবে ইত্যাদি।

Advertisement

[সীমান্তে গুলি, টেবিলে বুলি! মোদিকে চিঠি লিখে আলোচনার ডাক ইমরানের]

পিয়ংইয়ংয়ে কিমের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুন বলেছেন, ‘‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা একমত হয়েছি।’’ উপদ্বীপে সামরিক শান্তির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন কিমও। ‘যুদ্ধহীন এক যুগের’ আশা দেখিয়েছেন মুন। গত এপ্রিলে দুই নেতা এই বিষয়টি নিয়েই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। আজকের বৈঠক শেষে কিম বলেন, ‘‘সারা পৃথিবী দেখতে চায়, দ্বিধাবিভক্ত এই জাতি নিজেদের জন্য কী ভাবে নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে আসতে চলেছে।’’ কিম জানান, শীঘ্র তিনি সিওলে যাবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ