সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভারত–নেপাল সম্পর্কে দেখা দিতে চলেছে উত্তেজনার পারদ। কালাপানি (Kalapani), লিপুলেখ (Lipulekh) এবং লিম্পিয়াধুরা (Limpiyadhura)– ভারতের (India) এই তিন অংশকে নিজেদের দাবি করে যে বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল (Nepal), সেটিরই ইংরাজি সংস্করণ এবার বের হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসংঘ (United Nations), গুগলের (Google) মতো আন্তর্জাতিক সমস্ত সংস্থাকে সেটি পাঠানো হবে। শনিবার এমনটাই দাবি করা হয়েছে সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
[আরও পড়ুন:কাজ শুরু করল আরব দুনিয়ার প্রথম আণবিক চুল্লি, পথ দেখাল আমিরশাহী]
ভূমি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী পদ্ম আরিয়ালকে (Padma Aryal) উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা শীঘ্রই আন্তর্জাতিক সমস্ত পক্ষের কাছে নেপালের সংশোধিত এই মানচিত্র পাঠাব। ওই ম্যাপে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা নেপালের অন্তর্গত রয়েছে।’’ এর সঙ্গেই তিনি আরও জানান, দ্রুতই একটি বইও নাকি প্রকাশ করবে নেপাল সরকার। সেখানেও এই তিনটি অংশকে নেপালের অংশ হিসেবেই দেখানো হয়েছে। তবে আপাতত ইংরেজিতে নেপালের নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেই রাষ্ট্রসংঘ, গুগলের অফিসে পাঠানোই সেদেশের সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
[আরও পড়ুন: কোথায় তথ্য নিরাপত্তা? দুই কিশোরই হ্যাক করে ফেলল ওবামা- গেটসদের টুইটার অ্যাকাউন্ট]
নয়া এই বিতর্কের সূত্রপাত অবশ্য গত মে মাস থেকে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ধরচুলা থেকে চিন (China) সীমান্ত ঘেঁষা লিপুলেখ পর্যন্ত ভারতের রাস্তা তৈরি নিয়ে প্রথম আপত্তি জানায় কাঠমাণ্ডু (Kathmandu)। তারপরই ওই ভূখণ্ড তাদের বলে দাবি করে ক্ষমতাসীন ওলি সরকার। কিন্তু নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই অঞ্চল ভারতেরই অন্তর্ভুক্ত। এরপরই দেশের মানচিত্র বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি বিতর্কিত এলাকার সীমান্ত বরাবর সাতটি নতুন বর্ডার আউটপোস্ট বানায় নেপাল। এরপর নেপালের পার্লামেন্টে মানচিত্র সংশোধনী বিলে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার সঙ্গে লিপুলেখ গিরিপথও নেপালের ভূখণ্ড বলে দাবি করা হয়। এমনকী পার্লামেন্টে পাশও হয়ে যায় সেই মানচিত্র সংশোধনী বিল।
কূটনৈতিক মহলের ধারণা, নেপালের ওই লম্ফঝম্ফের পিছনে আসলে রয়েছে বেজিংয়েরই উসকানি। ইতিমধ্যে লিপুলেখ গিরিপথের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে লালফৌজ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে পালটা হিসেবে ওই এলাকায় সেনা ও ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।