সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওলি সরকারের অতিরিক্ত চিন নির্ভরতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল নেপাল (Nepal)। বিতর্কিত মানচিত্র নিয়ে ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েনের সময় তা কিছুটা থমকে যায়। কিন্তু, মঙ্গলবার চিনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানচি (Hou Yanqi) নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবনে গোপন বৈঠক করার পরেই ফের চিন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল কাঠমান্ডু। প্রচুর মানুষকে জড়ো হয়ে নেপালের সরকারি সিদ্ধান্তে চিনের হস্তক্ষেপে বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়। তাঁদের অনেকের হাতে চিন বিরোধী পোস্টারও ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে মানচিত্র নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকেন তাঁর দলের নেতারা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহল বা প্রচণ্ডের নেতৃত্বে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির বহু নেতাই ওলিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তৎপর হয়ে উঠেছিল। এই বিষয় নিয়ে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে প্রবল ঝড় বয়ে যায়। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে আসরে অবতীর্ণ হন ওলির ঘনিষ্ঠ নেপালে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানচি। মঙ্গলবার সকালে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও শাসকদলের নেতা মাধব কুমার নেপালের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠকও করেন। দেখা করেন নেপালের শাসকদলের আরেক বর্ষীয়ান নেতা ঝালা নাথ খানালের সঙ্গেও।
[আরও পড়ুন: ‘আজীবন সুরক্ষা নাও মিলতে পারে’, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সতর্ক করলেন ফাউচি]
এই বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই চিনের রাষ্ট্রদূত নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন নাক গলাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিদেশ মন্ত্রকের অনেক সরকারি আধিকারিকও এই বৈঠকের বিরোধিতায় মুখ খোলেন। এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে নেপাল সরকারের সিদ্ধান্তে চিনের হস্তক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ হয় কাঠমান্ডুতে।