Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

বেতন নেই, মিলছে না পর্যাপ্ত খাবারও, আর্থিক বিপর্যয়ে বেহাল দশা পাক সেনার

মূল্যবৃদ্ধি গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

No salaries and no food for Pakistan army Economic crisis hits hard | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 4, 2023 8:02 pm
  • Updated:March 4, 2023 8:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কা যে বিভিষিকার মধ্যে পড়েছিল, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পাকিস্তানও (Pakistan) সেই পথে এগোচ্ছে। চিন-সহ বন্ধু দেশগুলি থেকে ঋণ নিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। কঠিন অবস্থায় পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। ক’দিন আগেই বিদ্যুতে বাড়তি মাশুল চাপিয়েছে শাহবাজ সরকার। উদ্দেশ্য, বেশি রাজস্ব আদায় করে কোষাগারের সম্পদ বৃদ্ধি। এবার জানা গেল, অর্থের অভাবে সেনার খোরাকেও টান পড়ছে। এমনকী অন্য সরকারি কর্মচারীদের মতোই জওয়ানদের বেতনে কাটছাঁট শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধি গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমানে যা ২৭.৬ শতাংশ। গত বছর এই সময় মূল্যবৃদ্ধির শতাংশের হার ছিল ১২.৮ শতাংশ। একই কারণে ক্রমাগত সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাংক। ঠেকানো যাচ্ছে না পেট্রল, ডিজেলের মতো অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মৃল্যবৃদ্ধি। এবার শাহবাজ শরিফের দেশের অর্থনৈতিক অচলাবস্থার আঁচ পড়ল পাক সেনার উপরেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগামী বছরই নিঃস্ব হয়ে যাবে রাশিয়া! বিস্ফোরক দাবি রুশ ধনকুবেরের]

সেনার কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল দপ্তরের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সোনার খোরাকে অর্থাৎ খাবারে পরিমাণ কমানো হচ্ছে। আগে যে পরিমাণ খাবার বরাদ্দ হত তা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ সেনার ক্ষেত্রেও ব্যয়সঙ্কোচের নীতি নিয়েছে শাহবাজ সরকার। এমনকী অন্য সরকারি কর্মীদের মতোই সেনাকর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়েও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, আপাতত বন্ধ হয়েছে জওয়ানদের বেতন। যদিও ২০২২-২৩ বাজেটেও প্রতিরক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় বাজেট বাড়ানো হয় ৩ শতাংশ। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কার্যকর আদৌ সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের অস্ট্রেলিয়ায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী স্লোগান]

উল্লেখ্য, ইসলামাবাদের এই খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ চিন (China)। তাদের তরফে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এদিকে দীর্ঘ আলোচনার শেষে কঠিন শর্তের বিনিময়ে আইএমএফের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। তারপরেই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির শর্ত মেনে নতুন বিল পাশ হয় পাক সংসদে। এতে কর ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ফলে আমজনতার উপর করের বোঝা বিপুল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ পাক জনতার অবস্থা তথৈবচ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ