Advertisement
Advertisement

Breaking News

Beirut

সিসি ক্যামেরায় বন্দি বেইরুট বিস্ফোরণের ভয়াবহতা, শেয়ার করলেন পরিচালক ওনির

বিয়ের পোশাকে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন নবদম্পতি। তারপর...

Onir shares horrific video of Beirut explosion on social media
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 12, 2020 2:17 pm
  • Updated:August 12, 2020 2:17 pm

 সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা গাউনে সেজেছিলেন কনে। বরের পরনে ছিল কালো স্যুট। কনের হাসিমুখ আচমকা পালটে গেল। কিছু যেন আঁচ করলেন। মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত কিছু শেষ। চোখের পলকে নিশ্চিহ্ন অফিস, বাড়ি, শপিং মল। লেবাননের (Lebanon) রাজধানী বেইরুটের (Beirut)  বন্দরের বিস্ফোরণের এমনই কিছু ভয়ঙ্কর দৃশ্যের ভিডিও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেয়ার করলেন পরিচালক ওনির (Onir)।

 

Advertisement
 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 

Lebanon through CCTV Devastating Prayers for Beirut to heal soon . #lebanon #beirut

Advertisement

A post shared by Onir (@iamonir) on

এভাবেই চোখের পলকে লেবানন হারিয়েছে দু’শোরও বেশি প্রাণ। ছিন্নভিন্ন নিথর দেহের সংখ্যা গোনার পালা এখনও চলছে। অফিসে গালে হাত রেখে যে লোকটা নিশ্চিন্ত মনে কাজ করছিলেন, তার কোনও হদিশ বোধহয় এখনও প্রিয়জনেরা পাননি। করোনা কালে মাস্ক পরে জিনিস কিনতে বেরিয়ে ছিলেন যে ক্রেতা, তাঁর দেহাংশে সন্ধানও হয়তো মেলেনি।

[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহী ২০টি দেশ, ভারত-সহ ৫ দেশে চূড়ান্ত ট্রায়াল, দাবি রাশিয়ার]

প্রশাসনের সূত্রে খবর, গত ছ’বছর ধরে বেইরুট বন্দরের গুদামে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অরক্ষিত অবস্থায় পড়েছিল। বন্দরের সুরক্ষার জন্যই নাকি তা রাখা হয়েছিল। ৪ আগস্ট তা থেকেই ভয়ংকর এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ি, ঘর, অফিস, স্কুল, কলেজ ধুলিসাৎ হয়ে যায়। ছ’হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বেইরুটের বিস্ফোরণে। এখনও অনেকে হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন।

[আরও পড়ুন: গত চার সপ্তাহে আমেরিকায় শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ৯০ শতাংশ]

বিস্ফোরণের পর থেকে লেবানন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত বছর জানুয়ারিতে ইরান সমর্থিত প্রভাবশালী হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও তার মিত্রদের সমর্থন নিয়ে লেবাননের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর সঙ্গীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন দেশের তথ্যমন্ত্রী সামাদ সাফ ও পরিবেশ মন্ত্রী দামিয়ানস কাট্টার। সোমবার অর্থমন্ত্রী গাজি ওয়াজনিও ইস্তফা দেন। আর এতেই প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা আরও বিপাকে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও ক্ষমতা ছাড়ার কোনও ইঙ্গিত দেননি প্রধানমন্ত্রী দিয়াব। একইভাবে ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ রাষ্ট্রপতি মিখেল আউনও।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ