Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nigeria

বন্দুকবাজদের হামলায় রক্তাক্ত নাইজেরিয়ার গির্জা, মৃত অন্তত ৫০

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

Over 50 feared dead after gunmen attack worshippers at church in Nigeria | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 6, 2022 8:38 am
  • Updated:June 6, 2022 9:43 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাইজেরিয়ার গির্জায় বন্দুকবাজদের হামলা। মৃত অন্তত ৫০। আহত বেশ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার প্রার্থনা চলাকালীন ওন্ডো প্রদেশের সেন্ট ফ্রান্সিস ক্যাথলিক চার্চে হামলা চালায় বন্দুকবাজদের একটি দল। সেখানে নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি শুরু করে তারা। প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় উপস্থিত জনতার মধ্যে। সেই সুযোগে গির্জার যাজককে অপহরণ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্তা ওগুনমোলাসুয়ি ওলুওলে জানিয়েছেন, ওন্ডো প্রদেশের সেন্ট ফ্রান্সিস ক্যাথলিক চার্চে প্রার্থনার জন্য অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় একাধিক বন্দুকবাজ গির্জায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এই হামলায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়, এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত তিন]

যদিও গুলিতে ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন সরকারিভাবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার সময়কার একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে গির্জা। সেই রক্তের উপর পড়ে রয়েছেন চার্চে প্রার্থনা করতে আসা মানুষরা। চার্চে হামলার ঘটনায় এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি। তিনি বলেন, “নরকের জীবরাই এহেন ভয়ানক কাজ করতে পারে। যাই হোক না কেন, নাইজেরিয়া কখনও খারাপ মানুষের কাছে হার মানবে না। অন্ধকার কখনই আলোকে জয় করবে না। অবশেষে নাইজেরিয়াই জয়ী হবে।”

Advertisement

গির্জায় এহেন ভয়াবহ হামলার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনিতে ওন্ডো নাইজেরিয়ার শান্তিপূর্ণ প্রদেশগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে সেদেশে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে কয়েক দশক ধরেই সংঘাত চলছে। এছাড়া, সেখানে কিছুদিন ধরে ফুলানি পশুপালক এবং হাউসা কৃষকদের মধ্যে অশান্তি চলছে। দুই পক্ষই যেহেতু মুসলত মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত, তাই সেই সংঘর্ষের জেরে এই হামলা নয় বলেই ধারণা। পুলিশ এনিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তবে হামলার নেপথ্যে মুসলিম জঙ্গি সংগঠন ‘বকো হারাম’-এর হাত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ফের মিসাইল নিক্ষেপ কিমের উত্তর কোরিয়ার, বাড়ছে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার আশঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ