Advertisement
Advertisement
হজরত মহম্মদ

হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত পোস্টের জের, অধ্যাপকের ফাঁসির নির্দেশ পাক আদালতের

আসিয়া বিবির পর পাকিস্তানের মৌলবাদী মানসিকতার শিকার ওই অধ্যাপক।

Pak Professor Sentenced To Death For
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 22, 2019 1:50 pm
  • Updated:December 22, 2019 9:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সহিষ্ণুতা নিয়ে মাঝে মধ্যেই প্রশ্ন তোলে পাকিস্তান। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়দিনই অভিযোগ জানায় রাষ্ট্রসংঘ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে। সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(CAA) পাশ হওয়ার পরে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। আর ঠিক এই সময়ে হজরত মহম্মদ ও কোরান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্কিত পোস্টের জেরে এক অধ্যাপককে প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের আদালত। ৩৩ বছর বয়সী ওই অধ্যাপকের নাম জুনায়েদ হাফিজ। শনিবার তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় মুলতান জেলা ও সেশন কোর্টের বিচারক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্কের ঢেউ উঠেছে বিশ্বজুড়ে। পাকিস্তানের কট্টর ও মৌলবাদী মনোভাবের সমালোচনায় সরব হয়েছে সবাই। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিও। এদিকে এই রায়দানের পরেই আদালতের বাইরে উল্লাসে মেতে ওঠে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা। আল্লা হো আকবর স্লোগান দিতে দিতে সবাইকে মিষ্টি বিলি করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের মুলতানে অবস্থিত বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ছিলেন জুনায়েদ। অধ্যাপনার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজকর্মও করতেন। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ হজরত মহম্মদ ও কোরান সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্কিত পোস্টের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু, প্রায় একবছর বাদে ২০১৪ সালে মুলতানের জেলা আদালতে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়। আর শনিবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে অতিরিক্ত সেশন জজ কাশিফ কাইয়ুম। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও ছমাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, ক্রিসমাসের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে জারি নিষেধাজ্ঞা]

 

Advertisement

এর মাঝে ২০১৪ সালের মে মাসে হাফিজের প্রথম আইনজীবীকে মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় কট্টরপন্থীরা। তাতে রাজি না হওয়া তাঁর অফিসে ঢুকে ওই আইনজীবী পাকিস্তানের বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী রশিদ রেহমাকে গুলি করে খুন করে। বর্তমানে যে আইনজীবী হাফিজের হয়ে লড়াই করছেন তাঁকেও খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবুও কট্টরপন্থীদের কাছে মাথা নত করতে চাইছে না তিনি। বরং গতকালের রায়ের পর এর বিরুদ্ধে তিনি লাহোর হাই কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানান। যদিও তাঁর আশঙ্কা, পাকিস্তানের যা পরিস্থিতি তাতে কোনও বিচারকই ন্যায়বিচার করার ঝুঁকি নেবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ