Advertisement
Advertisement

জানেন, গত আড়াই বছরে পাকিস্তানে কতজনের ফাঁসি হয়েছে?

জানলে আঁতকে উঠবেন।

Pakistan 5th-most prolific executioner in world: Report

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 8, 2017 9:10 am
  • Updated:July 8, 2017 9:10 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধ যতই গুরুতর হোক না কেন, রাষ্ট্র কী কখন কোনও নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে? মৃত্যুদণ্ড কী আদৌও অপরাধ প্রবণতা কমাতে পারে? এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। অনেকের কাছে মৃত্যুদণ্ড রাষ্ট্রের মদতে খুনেরই নামান্তর মাত্র। তাই মৃত্যুদণ্ডের বিলোপের দাবিতে সারা বিশ্বে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তবে বহু দেশে এখনও মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে। চিন, সৌদি আরব, ইরাক বা ইরানের মতো দেশে তো সামান্য অপরাধেও অপরাধীকে ফাঁসি কাঠে ঝোলানোর নজির আছে। আর এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রযেছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখে গিয়েছে, গত আড়াই বছরে পাকিস্তানে ৪৬৫ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

[সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ফের পাকিস্তানকে তুলোধোনা মোদির]

Advertisement

এখন বিশ্বের ১০১টি দেশ থেকে  মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত হয়েছে। বস্তুত, ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয় পাকিস্তানেও। কিন্তু, ২০১৪ সালে ডিসেম্বরে পেশোয়ারে একটি স্কুলে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় ১৩২ জন শিশু-সহ ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই জঙ্গি ও অপরাধীদের চরম শাস্তি দিতে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান সরকার। ২০১৪-র ডিসেম্বর থেকে ২০১৭-র মে, এই সময়কালে পাকিস্তানে কতজনের ফাঁসি হয়েছে, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে জাস্টিস প্রজেক্ট পাকিস্তান নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, গত আড়াই বছরে পাকিস্তানে ৪৬৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে সীমান্তের ওপারে ফাঁসি হয় কমপক্ষে তিনজনের। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে এখন মৃত্যদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা প্রায় আট হাজার বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

[জানেন, নাসার চাকরি ছেড়ে কেন সিগারের ব্যবসা করছেন এই ব্যক্তি?]

তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েও যে পাকিস্তানে অপরাধ কমানো গিয়েছে, এমনটা কিন্তু নয়। সমীক্ষা বলছে, এই আড়াই বছরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশে। সেখানে ফাঁসি হয়েছে প্রায়  ৩৮২ জনের। কিন্তু, ২০১৫-২০১৬ সালে পাঞ্জাবে খুনের ঘটনা কমেছে মাত্র ৯.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, মাত্র ১৮ জনের ফাঁসি হলেও, সিন্ধুপ্রদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে অপরাধের ঘটনা। যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই সমীক্ষা চালিয়েছে, সেই জাস্টিস প্রোজেক্ট পাকিস্তান-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সারা বেলালের দাবি, সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট পাকিস্তানে সন্ত্রাস বা অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড একেবারেই কার্যকরী হয়নি। বরং রাজনৈতিক কারণে মৃত্যুদণ্ডকে ব্যবহার করার প্রবণতা বাড়ছে।

[সিনেমা শুরুর আগে বামপন্থার ‘প্রোপাগান্ডার’ ভিডিও, বিতর্কে চিন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ