Advertisement
Advertisement
মাসুদ

মাসুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জইশকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? পাকিস্তানের পদক্ষেপে সংশয়

আমেরিকা ও চিনের চাপের মুখেই মাসুদ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান৷ 

Pakistan freezes Masood Azhar's assets, bans travel

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 3, 2019 2:41 pm
  • Updated:May 3, 2019 2:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল পাকিস্তান৷ জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার পর এবার তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতেও বাধ্য হল ইসলামাবাদ৷ পাক প্রশাসন জানিয়েছে, মাসুদ আজহারের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়ছে৷ একই সঙ্গে তার ভ্রমণের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷  

[ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র পর তাণ্ডব চালাবে ভারতের ‘বায়ু’]

Advertisement

বুধবারই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিনেতা মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ৷ ফলে সে বা তার সংগঠন কোনওরকম অস্ত্র ও গোলাগুলি কিনতে বা বিক্রি করতেও পারবে না। বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা আজহারের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি ‘আল কায়দা স্যাংশনস কমিটি’র নিয়ম মেনে মাসুদের সমস্ত স্থাবর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করবে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি৷ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলওয়ামা কাণ্ড এবং সেখান থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিই মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রসংঘকে বাধ্য করেছে। পুলওয়ামায় ভারতীয় বাহিনীর উপর জইশ জঙ্গিদের হামলা এবং গত দুই দশকে জইশ জঙ্গিরা যেভাবে ভারতের মাটিতে একের পর এক আঘাত হেনেছে তার যাবতীয় প্রমাণ, নথি চিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। চিনও সেগুলিকে মেনেছে। তার ফল হাতেনাতে। চিন এবার প্রস্তাবে ভেটো না দিয়ে সম্মতি দিয়েছে।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা ও চিনের চাপের মুখেই মাসুদ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান৷ তবে লোকদেখানো পদক্ষেপে জইশ প্রধানকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তা সময়ই বলবে৷ উল্লেখ্য,  জইশ-ই-মহম্মদ, যার অর্থ হল ‘মহম্মদের সেনা’, তার প্রাণপুরুষ এই মাসুদ আজহারই। একসময় সে ছিল ভারতের হেফাজতে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে আফগানিস্তানে তালিবান জমানায় কান্দাহারে বিমান অপহরণের পর তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ভারত। আফগানিস্তানে থাকার সময়ই কুখ্যাত তালিবান নেতা মোল্লা ওমর এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও সে দেখা করে। ২০০১ সালে ভারতের সংসদেও হামলা চালিয়েছিল তার জঙ্গিবাহিনী। সরকারি ভাবে পাকিস্তানে জইশকে নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণা করা হলেও কখনও ‘আফজল গুরু স্কোয়াড’, কখনও ‘আল মুরাবিতুন’, কখনও ‘তেহরিক-অল-ফুরকান’ ছদ্মনামে কাজ করে মাসুদের দলবল।  

[চিজ-সসেজ নয়, খাঁটি দেশি প্রাতরাশের দাবিতে সরব পাকিস্তানের বিমান যাত্রীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ