সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মস মিসাইলের আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি পাকিস্তানের৷ এরই মধ্যে ভারতের হাতে এসে গিয়েছে অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম৷ এমন পরিস্থিতিতে আবারও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের সব ঋতুর বন্ধু চিন৷ সূত্রের খবর, বেজিংয়ের কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তির নয়া সুপারসনিক মিসাইল কিনতে চলেছে ইসলামাবাদ, যা কিনা ব্রহ্মসের সমকক্ষ৷ আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রহ্মসকে কড়া টক্কর দিতে পারে চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি এইচডি-১ মিসাইল সিস্টেম৷
[অনেককে গোপনে হত্যা করিয়েছেন পুতিন, বিস্ফোরক মার্কিন প্রেসিডেন্ট]
জানা গিয়েছে, এই নয়া মিসাইল সিস্টেম তৈরি করেছে দক্ষিণ চিনের একটি বেসরকারি সংস্থা৷ যাতে রয়েছে, অত্যাধুনিক লঞ্চ-কন্ট্রোল-টার্গেট সিস্টেম৷ অ্যান্টি-মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকেও সহজেই ভেদ করতে সক্ষম এটি৷ চিনা সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, উত্তর চিনের একটি পরীক্ষাক্ষেত্রে গত সপ্তাহেই এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা হয়েছে৷ পরীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, জল-বায়ু-ভূমি তিনক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে এটি৷ জানা গিয়েছে, শীঘ্রই বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে এই মিসাইলের বিক্রি শুরু করবে সংস্থাটি৷ যাদের মধ্যে প্রথমের সারিতে রয়েছে পাকিস্তান ও মধ্য-প্রাচ্যের বেশকিছু দেশ৷ ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মসের পাল্লা তিনশো কিলোমিটার৷ তবে এইচডি-১ এর পাল্লা সম্পর্কে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি৷ তবুও চিনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচডি-১ নাকি ব্রহ্মসের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম৷
[‘নাম শুনে মনে হচ্ছে না হিন্দু’, গরবা অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা ভারতীয় গবেষককে]
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দেরও কয়েক গুণ গতিসম্পন্ন এই মিসাইলটি ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক‘ চালাতেও মদত করবে ভারতীয় সেনাকে। প্রায় ২৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটি। এই মিসাইল ব্যবহারে লক্ষ্যই হল, একই সঙ্গে দু’মুখো যুদ্ধ শুরু হলে ভারত যেন পালটা মাত দিতে পারে শত্রুদের। একবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্যরা যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে বহুদূরেও শত্রুঘাঁটি ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারবে। ভূমি বা সমুদ্রে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারে ব্রহ্মস।