সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ হাতের মুঠোয় বিশ্ব। স্মার্টফোনে একটি বোতাম টিপেই দেখে নেওয়া যায় সুদূর আফ্রিকার অরণ্যের ছবি। ভিডিও কল করে আত্মীয়ের সঙ্গে দূরত্বের সীমানা মুছে ফেলা যায়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয় সাইটগুলির দৌলতে মুহূর্তে পৌঁছে যাওয়া যায় কোটি কোটি মানুষের কাছে। আর এই প্রযুক্তিকেই এবার কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসের বীজ ছড়াচ্ছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি। এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য।
পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ৬৪টি জঙ্গিসংগঠনের মধ্যে প্রায় ৪১টি সংগঠনের ফেসবুক পেজ রয়েছে। ওই পেজগুলির মাধ্যমে ধর্মের নামে উন্মাদনা ও ‘জেহাদের’ নামে সন্ত্রাসের বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে চলেছে সন্ত্রাসবাদী দলগুলি। পাকিস্তানে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করেন। মাত্র একটি ক্লিকেই তাঁরা ওই জেহাদি পেজগুলিতে পৌঁছে যেতে পারেন। যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে সন্ত্রাসের বৃত্ত। ইতিমধ্যে, ইসলামিক স্টেট, আল কায়দার মত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুবকদের তাদের দলে যোগ দিতে প্ররোচিত করছে।
[‘কাশ্মীর, কাশ্মীরি ও কাশ্মীরিয়ত’ সবই ভারতের নিজস্ব: রাজনাথ সিং]
ওই রিপোর্টে জানা গিয়েছে লস্কর-এ-জংভি, তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান, জামাত উল অহরারের মতো বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন-সহ বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ফেসবুক পেজ রয়েছে। তবে সব ফেসবুকে সব থেকে বেশি প্রায় ২০০টি গ্রুপ ও পেজ রয়েছে ‘আহলে সুন্নত আল জামাত’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের। ওই পেজগুলিতে উর্দু, রোমান উর্দু, সিন্ধি ও বালোচ ভাষায় সন্ত্রাসবাদের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়। নিহত জঙ্গি নেতাদের শহিদের মর্যাদা দিয়ে তাদের গৌরবান্বিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে জেহাদের উস্কানি দেওয়া হয় পেজগুলিতে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যাবহার করে সন্ত্রাস ছড়ানোর এই প্রচেষ্টায় লাগাম টানতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পাক প্রশাসন। সন্ত্রাসবাদীদের প্রোফাইল বা পেজের মাধ্যমে এভাবে সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দেওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত ভারতের নিরাপত্তা মহল। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নজর রাখতে শুরু করেছে এমন সন্দেহজনক পেজ ও গ্রুপগুলিতে। সম্প্রতি, কাশ্মীরে পাথর নিক্ষেপকারীদের উসকানি দেওয়ার কাজে লিপ্ত থাকা প্রায় ৩ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেয় সরকার।
[‘কাশ্মীর, কাশ্মীরি ও কাশ্মীরিয়ত’ সবই ভারতের নিজস্ব: রাজনাথ সিং]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.