Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাথায় ঝুলছে ইমপিচমেন্টের খাঁড়া, নাটকীয় পরিবেশে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ ট্রাম্পের

প্রেসিডেন্টের বক্তৃতার একটি প্রতিলিপি ছিড়ে ফেললেন স্পিকার।

President Trump hails 'American comeback' in Congress speech
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 5, 2020 11:12 am
  • Updated:February 5, 2020 11:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তবে করমর্দনে কোনও আগ্রহ প্রকাশ করলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর একটা সময় সংসদের মাঝেই প্রেসিডেন্টের বক্তৃতার একটি প্রতিলিপি ছিড়ে ফেললেন স্পিকার। স্থানীয় সময় মতে, মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে এমনই একাধিক নাটকীয় দৃশ্যের অবতরণ দেখল আমেরিকা। 

মাথায় ইমপিচমেন্টের খাঁড়া নিয়েই মঙ্গলবার ‘হাউজ অফ  রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ আগামী বছরের পরিষদীয় কার্যপন্থা নিয়ে ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ শীর্ষক ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংসদে আমেরিকার স্বাস্থ্য পরিষেবা ধ্বংস করছে ডোমোক্রেটরা বলেও পরোক্ষে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, বিশ্বে ফের ‘গ্রেট আমেরিকা’র উত্থানে আগামী চারবছরের কার্যপন্থার বিষয়গুলিও তুলে ধরেন তিনি। যদিও, এদিনের ভাষণে একবারের জন্যও ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ খোলেননি ট্রাম্প। উল্লেখ্য, বুধবার মার্কিন সেনেটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোট হতে চলেছে। যদিও মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে ১০০টির মধ্যে ৫৩টি আসনের দখল রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। ৪৭টি আসন নিয়ে হম্বিতম্বি করলেও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা সম্ভব নয় বলেও জানে ডেমোক্রেটিক পার্টি।   

Advertisement

এদিকে, ভাষণের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউজ অফ  রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এর স্পিকার  ন্যান্সি পেলোসির দিকে এগিয়ে যান ট্রাম্প। তবে করমর্দনের জন্য পেলোসি হাত এগিয়ে দিলে তা উপেক্ষা করে বিতর্ক তৈরি করেন প্রেসিডেন্ট।  জবাবে, ট্রাম্পের ভাষণ শেষ হওয়ার পর সেই বক্তৃতার একটি প্রতিলিপি প্রকাশ্যে ছিড়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন পেলোসি।তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্টের ভাষণ আগাগোড়া মিথ্যায় ভরা। তাই প্রতিলিপিটি ছিড়ে ফেলেছেন তিনি। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্পের  ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করেন ডেমোক্রেটরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন এবং তাঁর ছেলের ব্যাপারে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন ট্রাম্প। ইউক্রেন রাজি না হওয়ায় একক সিদ্ধান্তে তাদের ৪০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা অনুদান বন্ধ করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও,  মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত তৃতীয়বার এই প্রক্রিয়ার সাক্ষী থাকল আমেরিকা।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষ নয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কড়া বার্তা নয়াদিল্লির]                           

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ