সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রকেট বা মর্টার নয়! পাকিস্তানিদের কাছে এখন আতঙ্কের আরেক নাম দুধ। অমৃতসম এই পানীয়টির দাম শুনেই ভিরমি খাওয়ার যোগাড় সে দেশের মানুষের। মহরমের দিন করাচি এবং সিন্ধ প্রদেশ-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে দুধের দাম ছাড়াল প্রতি লিটারে ১৪০ টাকা।
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানে রোজ মরছে হিন্দুরা’, ভারতে পালিয়ে এসে জানালেন ইমরানের দলের প্রাক্তন বিধায়ক]
এই মুহূর্তে পাকিস্তানে পেট্রল ও ডিজেলের চাইতে দুধের মতো অত্যাবশ্যক খাদ্যের দাম বেশি। চরম আর্থিক দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পড়শি দেশটি। শুনতে হাস্যকর হলেও, টাকা বাঁচাতে মন্ত্রীদের বৈঠকে চা-বিস্কুট পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে কোনওভাবেই হালে পানি পাচ্ছেন না তিনি। মাত্র দু’দিন আগে পেট্রলের দাম ছিল প্রতি লিটার ১১৩ টাকা এবং ডিজেলের দাম ছিল লিটার পিছু ৯১ টাকা। এক দোকানদার জানিয়েছেন, করাচিতে হঠাত্ করেই দুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লিটার পিছু ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহরমের সময়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি করা হয় সাবিল (অস্থায়ী দোকান) যেখান থেকে মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুধ, ফলের রস কিংবা ঠান্ডা পানীয় জল। এই কারণেই বেড়ে গিয়েছে দুধের চাহিদা।
তবে এতকিছুর পরও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এখনও করাচিতে দুধের সরকার নির্ধারিত দাম হচ্ছে লিটার প্রতি ৯৪ টাকা। যদিও সেই টাকায় দুধ বিক্রি করতে নারাজ বিক্রেতার। শুধু তাই নয়, টমেটো, রুটি, নান-সহ অন্যান্য খাদ্যবস্তুর দামও দেশটিতে ক্রমাগত চড়ছে। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় শূন্য বললেই চলে। এদিকে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। সব মিলিয়ে খবর আমদানি করার মতো অবস্থায়ও নেই দেশটি। উল্লেখ্য, আর্থিক মন্দা ও ভেঙে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে মরিয়া ইমরান সরকার। আপাতত পাক সেনার কাছে কাশ্মীর সমস্যা প্রধান হলেও, চাপে পড়ে লড়াইয়ের রাস্তা থেকে সরে এসেছে রাওয়ালপিণ্ডিও। সব মিলিয়ে নিষ্ফল অক্রোশে যুদ্ধের কথা বললেও আপাতত তা এড়িয়ে যেতে চাইছে ওই দেশ।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ৭২ বছর পর স্বীকার করল পাকিস্তান!]