Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

‘আমাদের থেকে আরও বেশি কর নেওয়া হোক’, করোনা মোকাবিলায় ‘মানবিক’ ধনকুবেররা

'আমাদের অর্থ স্বাস্থ্যখাতে খরচ করুন', সরকারের কাছে আরজি কোটিপতিদের।

Super-rich call for higher taxes on wealthy to pay for Covid-19

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 14, 2020 10:42 am
  • Updated:July 14, 2020 10:42 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যই সম্পদ, সকল সুখের মূল। অনেক পুরনো নীতিকথা। সেই নীতি কথাতেই আস্থা দেখাচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেররা। জীবনই যদি না থাকে সম্পদে কী কাজ? সাম্প্রতিক করোন অতিমারী (CoronaVirus) এটাই ভাবাচ্ছে তাদের। তাঁরা এখন বুঝছেন, নিজেকে এবং সৃষ্টিকে রক্ষা করতে হলে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা পরিকাঠামো, শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন।

‘কর ফাঁকি’, ‘কর ছাড়ের সুবিধা’, সেই সঙ্গে কর কমানোর প্রত্যাশা ধনকুবেররা চিরদিনই করে থাকেন। কিন্তু এ যেন উলট পুরাণ। বিশ্বের ৮০ জন ধনকুবের করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য তাঁদের কাছ থেকে উচ্চহারে কর আদায়ের আরজি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। এই ধনকুবেরদের বেশিরভাগই আমেরিকা ও ব্রিটেনের বাসিন্দা। সরকারের উদ্দেশ্য যৌথভাবে লেখা খোলা চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, ‘না, আমরা কেউ আইসিইউ বিভাগে অসুস্থদের সেবা করি না। তাঁদের হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুল্যান্স চালাই না। মুদির দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাজাই না বা বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিই না। কিন্তু আমাদের কাছে যা আছে, তা হল অনেক অনেক অর্থ। এই সময় এবং সংকট কাটিয়ে ওঠার পরে আগামী কয়েক বছরেও যা বিশ্বের প্রয়োজনে লাগবে। সেই কারণে এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী, আমরা কোটিপতিরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যে, আমাদের থেকে বেশি কর নেওয়া হোক। অবিলম্বে, সামগ্রিকভাবে এবং স্থায়ী ব্যবস্থায় তা নেওয়া হোক।’ এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় রয়েছেন অ্যাবিগেইল ডিজনি (Abigail Disney), টিম ডিজনি ও মেরি ফোর্ড।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনাকে ‘গুজব’ ভেবে আক্রান্তদের সঙ্গে পার্টি, কোভিড সংক্রমণেই মৃত্যু যুবকের]

ধনকুবেরদের চিঠিটিতে বলা হয়েছে, ‘এই অতিমারীর (COVID-19) প্রভাব আগামী কয়েক দশক ধরে বহাল থাকবে। এর জেরে লক্ষ লক্ষ পরিবার রোজগার হারিয়ে দারিদ্রসীমার নীচে চলে যাবেন। ইতিমধ্যেই প্রায় এককোটি শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অনেকের কাছে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ন্যূনতম সামর্থ্যটুকু নেই। তাছাড়া হাসপাতালে শয্যার অভাব, মাস্ক ও ভেন্টিলেটরের অপ্রতুলতাজনিত যন্ত্রণা প্রতি মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের অভাব সুস্পষ্ট করে চলেছে। কিন্তু আমরা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে সংকটের বিরুদ্ধে লড়ছি না, এবং তার শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও আমাদের কম। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমাদের রোজগার হারানোর ভয় নেই। বাসস্থান, পরিবারের জন্য গ্রাচ্ছাদনের চিন্তা আমাদের করতে হয় না।’ সেকারণেই সরকারের কাছে তাঁদের আর্জি, ‘দয়া করে আমাদের থেকে কর নিন। কর নিন। কর নিন। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। এটাই একমাত্র সিদ্ধান্ত হতে পারে। আমাদের অর্থের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনুষ্যত্ব।’

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ