Advertisement
Advertisement
Kabul

Afghanistan Crisis: দেশ চালাতে ১২ সদস্যের পরিষদ গড়ছে তালিবান, রয়েছেন হামিদ কারজাই ও মোল্লা বরাদর

আফগানিস্তানে গণতন্ত্র নয়, চলবে শরিয়তের শাসন, আগেই জানিয়েছিল তালিবান।

Taliban forms 12 member council to rule Afghanistan | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 24, 2021 4:59 pm
  • Updated:August 24, 2021 6:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে গণতন্ত্র নয়, চলবে শরিয়তের শাসন। আর দেশ চালাবে ১২ সদস্যের একটি কাউন্সিল বা পরিষদ। মূলত তালিবানের (Taliban) শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত হতে চলেছে সেই পরিষদ। সেই কাউন্সিলে জায়গা পাচ্ছেন দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রেকন্সিলিয়েশন’-এর প্রধান আবদুল্লা আবদুল্লা। কাউন্সিলে থাকছে শীর্ষ তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদরও।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ফিরল বামিয়ানের স্মৃতি, ফের এক স্থাপত্য গুঁড়িয়ে দিল তালিবান]

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিককে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, কাউন্সিলের সাত সদস্যের নাম ইতিমধ্যে ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বাকিদের নামও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। তালিবানের এক সূত্র জানিয়েছে, “প্রেসিডেন্ট ছাড়া আফগানিস্তানের শাসনভার থাকবে ১২ সদস্যের পরিষদের হাতে। এখনও পর্যন্ত সাতজন সদস্যের নাম ঠিক করা হয়েছে। তারা হলেন–হামিদ কারজাই, আবদুল্লা আবদুল্লা, মুজাহিদ কমান্ডার গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, প্রাক্তন আফগান ইন্টেরিওর মিনিস্টার হানিফ আতমার, তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব, তালিবান নেতা আবদুল ঘানি বরাদর ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি। তবে তালিবান বিরোধী কমান্ডার আবদুল রশিদ দস্তাম ও ‘ওয়ারলর্ড’ নুর মহম্মদ আট্টা এই পরিষদে যোগ দেবেন না বলেই খবর।

Advertisement
Taliban1
আফগানিস্তানে চলছে তালিবান রাজ।

উল্লেখ্য, তালিবানের রাশ থাকে ‘শুরা’ অর্থাৎ বর্ষীয়ান ইসলামীয় ধর্মগুরুদের পরিষদের হাতে। ২০০১ সালে মার্কিন হানায় আফগানিস্তানে তালিবানের পতনের পরই গঠন করা হয় কোয়েটা শুরা। মূলত পাকিস্তানের বলোচিস্তানের কোয়েটা শহর থেকেই কাজ করে শুরা। তবে এবার পরিস্থিতি পালটেছে। আফগানভূমে ফের ক্ষমতায় এসেছে জেহাদি তালিবান। ফলে দেশের শাসনভার কার্যত শুরার হতেই থাকবে।

Advertisement

এদিকে, কাবুল বিমানবন্দর এখনও আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। আর সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা (Afghanistan) রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এতেই বেজায় খাপ্পা জেহাদিরা। ডেডলাইন না মানলে ফল ভাল হবে না, বলে আমেরিকাকে শাসিয়েছে তালিবান।

[আরও পড়ুন: Taliban আগ্রাসনের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারতকেই ‘প্রকৃত বন্ধু’ বললেন আফগান পপ তারকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ