সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানের শক্তিবৃদ্ধিতে আতঙ্কে কাঁপছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) বাসিন্দারা। কেউ প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ছেন তো কেউ আবার মৃত্যুভয় নিয়ে বেঁচে রয়েছেন। এর মাঝেই সংঘর্ষবিরতির ইচ্ছেপ্রকাশ করল তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু তাও শর্তসাপেক্ষে। কী সেই শর্ত?
আফগান মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তালিবান জেহাদিরা জানায়, আফগানিস্তানের জেলেবন্দি ৭ হাজার তালিবান (Taliban) জঙ্গিদের মুক্তি দিতে হবে। তাদের নাম রাষ্ট্রসংঘের কালো তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তবেই তিন মাসের জন্য সংঘর্ষবিরতি মেনে চলবে জঙ্গি সংগঠনটি। কিন্তু তাদের এই শর্ত মানা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে আফগান সরকার। ফলে আগামী দিনেও আফগানিস্তানে শান্তি ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন আফগান নাগরিকরা। পাকিস্তান সীমান্তের স্পিন বলদাক সেনা ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে তালিবানেরা। এর পরই পাকিস্তানে পালানোর চেষ্টা করেন প্রায় ৪০০ আফগান নাগরিক। পালটা পাকিস্তানের তরফে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। ব্যাপক গন্ডগোল সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনার প্রধান জেনারেল অস্টিন মিলার পদ ছেড়েছেন বলে খবর। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে আমেরিকার অভিযানে ইতি পড়ল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হতেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। সে দেশের ৮৫ শতাংশ এলাকার দখল নিয়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছে তালিবানরা। এদিকে গজনি শহর ঘিরে ফেলেছে তালিবান জঙ্গিরা। সেখানে আফগান সেনার ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রচণ্ড গোলবর্ষণ করছে তারা। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর দখল করে ঘাঁটি বানাচ্ছে তালিবান জঙ্গিরা। ফলে আম জনতার নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে গোলবর্ষণ করতে পারছে না কাবুলের সরকারি বাহিনী। কৌশলগত ভাবে কান্দাহার-কাবুল জাতীয় সড়কের উপরে গজনি শহরটি থেকে রাজধানী কাবুলের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ফলে গজনি দখল করতে সক্ষম হলে কাবুলের পথে তালিবানের কুচকাওয়াজ আরও সহজ হয়ে যাবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.