প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে তত তালিবানরা (Taliban) পরিষ্কার করে দিচ্ছে একটু বদলায়নি তারা। বরং আফগানিস্তানের (Afghanistan) উপরে বজ্রমুষ্ঠি ধরে রাখতে যে কোনও নিষ্ঠুর কাজে তাদের হাত কাঁপে না। এবার ২০টি শিশুকে অপহরণ করল জেহাদিরা। দাবি করল তাদের বাবাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। আসলে তালিবান-বিরোধী শক্তিকে কবজা করতেই এই পদক্ষেপ করেছে তালিবান। ওই শিশুগুলি যাঁদের সন্তান তাঁরাই রয়েছেন ওই বাহিনীতে। সেই কারণেই এই অপহরণ বলে দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
প্রসঙ্গত, তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করলেও এখনও তাদের গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে পঞ্জশির। তালিবানকে জোর টক্কর দিতে তৈরি আহমেদ মাসুদের বাহিনী। তালিবানের তরফে এরই মধ্যে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, আত্মসমর্পণ না করলে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হবে তাদের। এরই মধ্যে ওই বাহিনীরই ২০ জনের শিশুসন্তানকে অপহরণ করা হল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মাসুদ বাহিবীর সংশ্রব ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করলেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে শিশুগুলিকে। তালিবান যে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য় যে কোনও রকম নীচতার আশ্রয় নিতে পারে তা ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল এই ঘটনায়।
হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে পঞ্জশির উপত্যকা বরাবরই তালিবানের মাথাব্য়থার কারণ। আজ থেকে নয়, সেই আটের দশক থেকেই আফগানিস্তানের সোভিয়েত-বিরোধী আন্দোলনের মুখ ছিল পঞ্জশির। আহমেদ শাহ মাসুদ ছিলেন সেই আন্দোলনের পুরোধা। এই মুহূর্তে তাঁর ছেলে আহমেদ মাসুদই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আফগান সেনার একটি অংশও মাসুদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশ ছাড়ার পরে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন আমরুল্লা সালেহও।
স্বভাবতই তালিবানের আপাতত লক্ষ্য, বাকি দেশের মতো ওই এলাকাও কবজা করা। আর সেজন্য়ই আত্মসমর্পণের হুমকি। আর এবার শিশু অপহরণের মতো নারকীয় চক্রান্ত। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ধরে রাখতে সক্ষম হয় কিনা পঞ্জশিরের তালিবান-বিরোধী সেনারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.