Advertisement
Advertisement
Taliban

আফগানিস্তানে ফিরবে শান্তি! কাতারে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শুরু তালিবানের

আফগানিস্তানে দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ করতে মরিয়া আমেরিকা।

Talks between Afghan government and Taliban starts in Qatar
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 12, 2020 3:27 pm
  • Updated:September 12, 2020 4:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ জর্জরিত আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে অবশেষে আলোচনার টেবিলে আফগান সরকার ও তালিবান। শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা করে দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা ও মার্কিন বিদেশসচিব বক্তব্য রাখেন। সোমবার থেকে কাবুলের সরকারি প্রতিনিধি ও তালিবানের মধ্যে শুরু হবে মুখোমুখি আলোচনা।

[আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকবে মায়ের নামও, নয়া সিদ্ধান্ত আফগান সরকারের]

প্রায় দু’দশক ধরে চলা যুদ্ধের পর বিগত কয়েকমাসে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মঞ্চে আসে তালিবান। তারপরই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তালিবান জঙ্গিরা বেগড়বাই করলে ফের ফৌজ মোতায়েন করবে আমেরিকা। তবে সেই আলোচনায় আফগান সরকারের ভূমিকা না থাকায় গোটা প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল। এহেন পরিস্থিতিতে এবার আফগানিস্তানে পূর্ণ শান্তি স্থাপন করার উদ্দেশ্যে এই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলেই আশা কূটনৈতিক মহলের।

Advertisement

জানা গিয়েছে, আফগান সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন আবদুল্লা আবদুল্লা। তালিবানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সংগঠনটির দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। এই গোটা প্রক্রিয়ায় আমেরিকার হয়ে থাকছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। এদিন দুপক্ষের মধ্যে লড়াই থামিয়ে শান্তি ফেরানোর পক্ষেই সওয়াল করেন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে আমরা একে অপরের হাত ধরে যদি সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করি তা হলে এই পরিস্থিতি বদলাবে। দেশে শান্তি ফিরবে। মানবতার খাতিরেই আমাদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে।” তালিবান নেতা বারাদার বলেন, “আমরা চাই আফগানিস্তান স্বাধীন ও আধুনিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। তবে ইসলামিক আইনকানুন মেনেই দেশ চালানো হোক।”

Advertisement

এদিকে, আফগানিস্তানে দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ করতে মরিয়া আমেরিকা। তাই দু’পক্ষের কাছেই শান্তি বজায় রাখার আরজি জানিয়ে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মার্কিন বিদেশসচিব বলেন,”আপনাদের দেশ কীভাবে, কোন রাজনৈতিক রীতিনীতি মেনে চলবে তা আপনাদেরই বেছে নিতে হবে। তবে জেনে রাখুন এই পথে গোটা বিশ্ব আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা চাই এই শান্তিপ্রক্রিয়া সফল হোক।” একই সুরে দু’পক্ষের কাছে বিভেদ ভুলে সদর্থক আলোচনার আরজি জানিয়েছেন কাতারের বিদেশমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসেই আফগান সরকার ও তালিবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বন্দিমুক্তির বিষয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেই সময় থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়া। কথা ছিল ১ হাজার আফগান সৈনিককে মুক্তি দেবে তালিবান। পালটা ৫ হাজার জঙ্গিকে জেলমুক্ত করবে কাবুল। কিন্তু ৬ জন তালিবান জঙ্গির মুক্তিতে আপত্তি জানিয়েছিল ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। কারণ ওই দু’দেশের নাগরিকদের হত্যায় জড়িত ছিল ওই জঙ্গিরা।

[আরও পড়ুন: মার্কিন পৌরহিত্যে আমিরশাহীর পর ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিল বাহরাইন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ