Advertisement
Advertisement

Breaking News

Taiwan

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ চিনা যুদ্ধবিমানের

বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন।

Two Chinese military aircraft enter Taiwan's air defense identification zone | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 10, 2022 9:53 am
  • Updated:May 10, 2022 9:53 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে ফের তাইওয়ানের (Taiwan) প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ চিনা যুদ্ধবিমানের। রবিবার দ্বীপরাষ্ট্রটির বায়ুসীমায় ঢুকে পড়ে লালফৌজের দু’টি ফাইটার প্লেন। এনিয়ে চলতি মাসে ষষ্ঠবার বায়ুসীমা লঙ্ঘন করল চিনা বিমান।

[আরও পড়ুন: প্রতিরোধের নাম পঞ্জশির, তাজিক যোদ্ধাদের হামলায় মৃত ২১ তালিবান জঙ্গি]

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার তাদের ‘এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন’-এ ঢুকে পড়ে চিনের দু’টি যুদ্ধবিমান। এরমধ্যে একটি ছিল কেএ-২৮ সাবমেরিন বিধ্বংসী হেলিকপ্টার। বলে রাখা ভাল, গত জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে ৩৯টি চিন যুদ্ধবিমান। চিনা বিমানগুলির মধ্যে ছিল ৩৪টি ফাইটার জেট, চারটি ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিমান ও একটি বোমারু বিমান। ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্লেনগুলিতে অত্যন্ত আধুনিক সোনার ও রাডার রয়েছে যার ফলে এরা সহজেই প্রতিপক্ষের সাবমেরিন খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া, শত্রুর রাডার সিস্টেম ও মিসাইল ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতাও রয়েছে এই বিমানের। এছাড়া, একাধিক মিসাইল ও বোমা নিয়ে ডুবোজাহাজ ধ্বংস করে বিপক্ষের নৌসেনাকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে এই বিমানগুলি।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জাম চিনের নিশানায় রয়েছে। দেশটির উপর চাপ তৈরি করতে ও হামলার পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতেই এহেন অনুপ্রবেশ করছে চিনা যুদ্ধবিমানগুলি। এদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, চিনা বিমানের গতিবিধি রাডারে ধরা পড়তেই সমস্ত মিসাইল সিস্টেম সক্রিয় করে দেওয়া হয়। দ্রুত পাঠানো হয় যুদ্ধবিমানও।

Advertisement

ইতিপূর্বে গত বছর তাইওয়ানের (Taiwan) প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনের অন্তত ১৯টি যুদ্ধবিমান। রাডারে বিমানগুলি ধরা পড়তেই হামলা বা সংঘাত ঠেকাতে অনুপ্রবেশকারী বিমানগুলিকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়। সেবার চিনা যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ছিল চারটি H-6 বোমারু বিমান, দশটি J-16 ফাইটার জেট, চারটি SU-30 যুদ্ধবিমান, একটি ট্যাঙ্কার ও একটি নজরদারি বিমান। এই বিষয়ে তাইওয়ান প্রতিবাদ করলেও মুখ খোলেনি চিন।

প্রসঙ্গত, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি।

[আরও পড়ুন: ‘পুতিনের মেরুদণ্ড ভাঙতে’ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে চলেছে জি-৭ দেশগুলি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ