সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পাকিস্তানে (Pakistan) জঙ্গি হামলার বলি হলেন দুই ধর্মীয় সংখ্যালঘু। বাইকে চড়ে আসা আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয় দুই শিখ ব্যবসায়ীর (Sikh Killing)। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা পেশোয়ার এলাকায়। রবিবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইসিস। এই ঘটনার নিন্দা করে পাকিস্তান সরকারকে নিশানা করেছেন শিখ নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম কনওয়ালজিৎ সিং এবং রঞ্জিত সিং। মশলার ব্যবসা ছিল তাঁদের। ঘটনার সময়ে তাঁরা দোকানেই ছিলেন। সেই সময়ে বাইকে চড়ে দু’জন আততায়ী এসে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান দুই ব্যক্তি। তারপর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুই আততায়ী। ঘটনার পরপরই আইসিসের (ISIS Terrorist) খোরাসান ইউনিটের তরফে জানানো হয়, পেশোয়ারে দুই শিখকে হত্যা করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: সংকটের সুযোগ নিয়ে এলটিটিই হানার ছক লঙ্কায়! কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট?]
এই ঘটনার নিন্দা করেছে শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি। শিখদের বিভিন্ন উপাসনালয়ের দেখভাল করে এই কমিটি। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, “এই ধরনের হত্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাকিস্তান সরকারের উচিৎ অবিলম্বে আততায়ীদের গ্রেপ্তার করা। নিজেদের কর্তব্য যেন ভুলে না যায় পাকিস্তান।” সংখ্যালঘুদের হত্যার বিষয়টি সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই হত্যার নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে আমাদের শিখ নাগরিকদের হত্যার (Terrorist Attack) ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনার তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সহানুভূতি জানাচ্ছি।” ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত সিং মানও।
Strongly condemn the killing of our Sikh citizens in Peshawar, KP. Pakistan belongs to all its people. Have ordered a high level inquiry to ascertain facts. The killers will be arrested & meted out exemplary punishment. My most sincere sympathies to the bereaved families.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) May 15, 2022
গত সেপ্টেম্বরেও এক শিখ ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল আইসিস জঙ্গিরা। রবিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান পাকিস্তানের শিখরা। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মিছিল করেন স্থানীয় শিখরা।