Advertisement
Advertisement

Breaking News

উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা আমেরিকার, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জাপানের

পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

US allies in Asia welcome return of North Korea to list of state sponsors of terror
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 22, 2017 9:29 am
  • Updated:September 23, 2019 11:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়াকে ফের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘর বলে আখ্যা দিয়েছেন। জারি হয়েছে একগুচ্ছ নয়া বিধিনিষেধও। পিয়ংইয়ংয়ের হাত থেকে যাবতীয় পারমাণবিক বোমা কেড়ে নিতেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ১৯৮৭-এ উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে আমেরিকা, কিন্তু ২০০৮-এ জর্জ ডব্লিউ বুশের জমানায় সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

[বিশ্বের সর্বত্র আঘাত হানতে সক্ষম তাদের মিসাইল, দাবি চিনের]

বহুদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে মার্কিন-বিরোধী পারমাণবিক কর্মসূচি চালাচ্ছিল পিয়ংইয়ং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে সে দেশের সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের একের পর পারমাণবিক ও হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা, মাথাব্যথা বাড়াচ্ছিল পেন্টাগনের। তাই এবার চরম পদক্ষেপ করল আমেরিকা। উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা দিল ওয়াশিংটন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি লাভবান হল জাপান ও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুই দেশই কিমের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যে ছিল। জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে তারা।

Advertisement

তবে উত্তর কোরিয়া এখনও তাদের মনোভাবে অনড়। কোনও চাপের সামনেই পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না বলে সদর্পে জানিয়েছে সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম। প্রস্তুত রয়েছে আমেরিকাও। উত্তর কোরিয়ার খুব কাছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে ২৮,৫০০ সেনা মোতায়েন রেখেছে পেন্টাগন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে চিনকেও। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং জানিয়েছেন, কোরীয় উপকূলে পরিস্থিতি এখন খুবই জটিল। এশিয়া সফরে শেষ করে উত্তর কোরিয়াকে ফের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা দেন ট্রাম্প। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে মন্তব্য করেছেন, বহুদিন আগেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত ছিল।

Advertisement

[গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষেই ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা! এবার দাবি নাসারই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ