Advertisement
Advertisement
রাষ্ট্রসংঘ

WHO-এর পর এবার রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে বেনজির সংঘাতে আমেরিকা

সবেমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আমেরিকা।

US denounces UN report on Iran general Soleimani's killing
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 9, 2020 5:36 pm
  • Updated:July 9, 2020 5:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোহণের পর থেকেই আমূল পালটেছে আমেরিকার বিদেশনীতি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গেও তেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী মনে হয়নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। সবেমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)সঙ্গে অনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি। এহেন সময়ে এবার রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

[আরও পড়ুন: ফের সেনা অভ্যুত্থানের ছক পাকিস্তানে? বরখাস্ত পাক ফৌজের ৩ জেনারেল]

এবার রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আমেরিকার সংঘাতের বিষয় নিহত ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেমানি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় সোলেমানির। ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার সোলেমানি হত্যার তদন্ত শেষে একটি রিপোর্ট পেশ করেন রাষ্ট্রসংঘের  বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্তে বিশেষজ্ঞ আধিকারিক এগনেস কালামারড। ওই রিপোর্টে তিনি সাফ জানিয়েছেন, সোলেমানির হত্যা ‘বেআইনি’। এর দ্বারা রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। কোনও প্রমাণ না থাকায়, সোলেমানি যে আমেরিকায় হামলা চালাতে যাচ্ছিল সেই অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না। ফলে ‘আত্মরক্ষার’ উদ্দেশ্যে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এই যুক্তি ঠিক নয়।

Advertisement

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে রীতিমতো চটে উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ওয়াশিংটনের বয়ান, সন্ত্রাসবাদীদের ছাড় দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মর্গান অরটাগাস সরাসরি কালামারডের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা’ বলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেই রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে নাম তুলে নিয়েছিল আমেরিকা। এবার সোলেমানি ইস্যুটে সেই সংঘাত আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষের দিকেই ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেছিলেন, ‘চিনের দালাল এবং হাতের পুতুল’ WHO’র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ ছিল, WHO-এর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চিনের হাতে চলে গিয়েছে। তারপর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে চিন, বেজিংয়ের বিরুদ্ধ আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ উইঘুর মুসলিমরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement