সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকটক-সহ একাধিক চিনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের বিষয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতের দেখানো পথেই হাঁটছে আমেরিকা। সোমবারই ফের করোনা ভাইরাসের ফলে আমেরিকা ও বিশ্বজুড়ে যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার জন্য চিনকে দায়ী করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কিছুক্ষণ পরেই আমেরিকার স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেও জানিয়ে দিলেন, টিকটক (TikTok)-সহ চিনের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস।
US Secretary of State Mike Pompeo says that the United States is “certainly looking at” banning Chinese social media apps, including #TikTok: Reuters
(file pic) pic.twitter.com/fUzJKlQkSk— ANI (@ANI) July 7, 2020
সোমবার আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) বলেন, ‘আমি এখনই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও আলোচনা করছি না। কিন্তু, পুরো বিষয়টাই আমাদের বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।’
[আরও পড়ুন: H-1B`র পর এবার বহু বিদেশি পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করল আমেরিকা, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিতর্ক ]
কিছুদিন ধরেই মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যরা দেশে বসবাস টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরির মাধ্যমে চিন জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করবে বলে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তাঁরা দাবি ছিল, ‘চিনের আইন অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি কোম্পানিকে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কথা মেনে চলতে হবে। দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে হবে। তাই চিনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহারকারী মার্কিন নাগরিকদের তথ্য বেজিংয়ের কাছে পৌঁছলে তা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক’। ইতিমধ্যেই মার্কিন আধিকারিকরা যাতে টিকটক অ্যাপ না ব্যবহার করে তার জন্য দুটি বিল কংগ্রেসের বিচারধীন। তবে লাদাখের ঘটনার পর ভারত যখন টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে তখন এই বিল পাশের আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। আর ট্রাম্প প্রশাসনও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে সোমবার মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিবের কথায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এদিকে ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই টিকটক জানায় কিছুদিনের মধ্যেই তারা হংকংয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। চিনের সরকার তাদের কাছে হংকংয়ে বসবাসকারী নাগরিকদের তথ্য চেয়েছিল বলে খবর। সেই কারণেই তারা সেখানে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।