সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে কর্মফল! গলায় ফাঁস দিয়ে নৃশংসভাবে প্রেমিকাকে হত্যা। দেহ লোপাটেরও ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির পিছনে প্রেমিকার দেহ সমাধিস্থ করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন প্রেমিক। পরে পুলিশ গিয়ে দু’টি দেহ উদ্ধার করে।
আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনার বাসিন্দার জোসেফ ম্যাককিন (৬০)। ৬৫ বছরের প্রেমিকা প্যাট্রিকা ডেন্টের সঙ্গে লিভ ইন করতেন। দিন কয়েক ধরে প্যাট্রিকার কোনও খবারখবর পাচ্ছিলেন না তাঁর যমজ বোন পামেলা ব্রিগস। দুজনে একই জায়গায় কর্মরত ছিলেন। কাজেও আসছিলেন না প্যাট্রিকা। চিন্তিত পামেলা ৯১১ নম্বরে অর্থাৎ পুলিশকে ফোন করেন। তাঁরা জোসেফের বাড়িতে হানা দিতেই বাগানে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
[আরও পড়ুন: PUBG খেলতে খেলতে প্রেম-যৌনতা! বিবাহিত প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিস্তার পেতে আদালত যুবক]
এর পর তদন্ত শুরু করতেই প্রকৃত তথ্য সামনে আসে। তদন্তের জন্য গোটা বাগান খুঁড়ে ফেলা হয়। দেখা যায় একটি কবর খোঁড়া হয়েছে। সেখানে প্লাস্টিকে মোড়া প্যাট্রিকার দেহ পড়ে রয়েছে। কবরের মাটিও একেবারে তাজা। এর পরই দুজনের দেহ পরীক্ষা করা হয়। তাতেই দেখা যায়, গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে প্যাট্রিকাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জোসেফের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের দাবি, প্রেমিকাকে খুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রৌঢ়।
বোনের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পামেলা। তাঁর কথায়, “কয়েকদিন ধরে বোনের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। তাই পুলিশকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু এমন খবর পাব ভাবিনি। প্যাট্রিকা উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত ছিল। সকলেই তাঁকে খুব ভালবাসত। আমার জীবনের একটা বড় অংশ চলে গেল। কীভাবে বাঁচব আমি!”