Advertisement
Advertisement

Breaking News

US president Joe Biden

দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কে জোর, ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত বাইডেনের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী

ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন কেনিথ জস্টার।

US president Joe Biden nominates LA Mayor Eric Garcetti for India ambassador | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 11, 2021 1:42 pm
  • Updated:July 11, 2021 3:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে লস অ‌্যাঞ্জেলসের মেয়র এরিক গারসেত্তিকে (Eric Garcetti) পছন্দ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। গারসেত্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীও বটে। মার্কিন সেনেট এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করলেই ৫০ বছরের গারসেত্তির নাম ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে সরকারিভাবে ঘোষণা করবেন বাইডেন। ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন কেনিথ জস্টার।

প্রেসিডেন্টের মনোনীত ভারত, বাংলাদেশ ও চিলির রাষ্ট্রদূতের নামগুলি হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, এরিক গারসেত্তি ২০১৩ সাল থেকে লস অ‌্যাঞ্জেলসের মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১২ বছর ধরে তিনি সিটি কাউন্সিলের সদস‌্য ছিলেন। কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টও হন। তবে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বাইডেনের হয়ে প্রচারের অন‌্যতম গুরুদায়িত্ব ছিল গারসেত্তির কাঁধে। এমনকী, আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ‌্যারিসকে বাইডেনের রানিং-মেট হিসাবে বেছে নেওয়ার পিছনেও বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাছের মানুষ গারসেত্তিকে ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে পাঠানোর কথা ভেবে বাইডেন দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গুরুত্ব দিতে চাইছেন। ভারতের দিক থেকেও এটি খুবই আশাব‌্যঞ্জক ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গারসেত্তির মাধ‌্যমে সহজেই কোনও বার্তা সরাসরি হোয়াইট হাউসে পৌঁছনো যাবে। আবার অতীতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় জাতীয়তাবাদ, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় ভারতের খুঁটিনাটিও জানেন গারসেত্তি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Afghanistan: তালিবানের দখলে কান্দাহারও, দ্রুত ৫০ কূটনীতিবিদকে দেশে ফেরাল ভারত]

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন গারসেত্তি ক্যাবিনেটে জায়গা পাবেন। এমনকী, আমেরিকার হাউজিং সেক্রেটারি হিসাবেও গারসেত্তির নাম উঠে এসেছিল। প‌্যারিস জলবায়ু চুক্তির সময়ও বিশ্বের সামনে নিজের কূটনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। তিনি ক্লাইমেট মেয়র নামে একটি ফোরামের শীর্ষপদে আছেন। গারসেত্তির নেতৃত্বেই আমেরিকার চারশোরও বেশি মেয়র প‌্যারিস জলবায়ু চুক্তি গ্রহণ করেন। আবার তিন দশক বাদে আমেরিকার মাটিতে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস ফিরিয়ে আনার কৃতিত্বও গারসেত্তিরই। প্রশাসক হিসাবে একদিকে যেমন সফল তেমনই মার্কিন নৌবাহিনীতে ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসাবে ১২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৭ সালে লেফটেন‌্যান্ট হিসাবে ইউএস প‌্যাসিফিক ফ্লিট ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দা এজেন্সি থেকে অবসর নেন কুইন্স কলেজ, অক্সফোর্ড এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের প্রাক্তনী। আমেরিকার দ্বিতীয় ব‌্যস্ততম মেট্রো পরিষেবা রয়েছে লস অ‌্যাঞ্জেলেস শহরে। সেখানে আরও নতুন ১৫টি ট্রানজিট লাইন তৈরি করার পিছনেও প্রধান উদ্যোক্তা গারসেত্তি। অন‌্যদিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে পিটার ডি হাস, চিলির জন‌্য বার্নাডেট এম মিহানের নাম মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একই সঙ্গে করোনার আলফা ও বিটা স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ