Advertisement
Advertisement

Breaking News

US Presidential Election 2020

‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে’, মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন নিয়ে কটাক্ষ রাশিয়ার

লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আসন্ন জটিলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন জো বিডেন।

US Presidential Election 2020: Russia blames archaic US electoral system | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 6, 2020 10:46 am
  • Updated:November 6, 2020 3:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউস দখল করবেন কে? ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর প্রায় দু’দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি উত্তর। লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আসন্ন জটিলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন জো বিডেন। প্রায় হারতে বসা ডোনাল্ড ট্রাম্পও কোর্ট দেখাচ্ছেন। পরিস্থিতি আরও জটিল করে মেল-ইন-ব্যালটে ‘কারচুপি’ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট শিবির। একাধিক শহরে হিংসাত্মক ঘটনায় ঘটেছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমেরিকার নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল রাশিয়া (Russia)।

[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসের দোরগোড়ায় পৌঁছেও থমকে বিডেন, নিজেকে জয়ী ঘোষণা ট্রাম্পের]

বৃহস্পতিবার রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেন, “দুই প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার সমান সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘটনাবলী থেকে এটা স্পষ্ট যে মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে।” মস্কোয় সপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জাকারোভা আরও বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত মার্কিন আইনগুলি প্রাচীন প্রকৃতির। বেশ কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনও সুনির্দিষ্ট আইনি পথ নেই। তবে আমরা মনে করি নিজেদের সংবিধান মেনেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সক্ষম হবে আমেরিকা।”

Advertisement

এদিকে, ইউরোপের পর্যবেক্ষক ‘Organization for Security and Co-operation’ তোপ দেগেছে যে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে ধাক্কা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিনও। ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে চলা চাপানউতোর স্পষ্ট করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ কটাক্ষ করে বলেন, “এখনও ফলাফল স্পষ্ট নয়। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা আর ষাঁড় কে লাল কাপড় দেখানো এক ব্যাপার।”

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। সেবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পক্ষে মত ছিল ক্রেমলিনের বলেও অভিযোগ করেছিলেন অনেকে। মসনদে বসে শুরুর দিকে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও পরের দিকে ফের সংঘাতের পথেই হাঁটে আমেরিকা ও রাশিয়া। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, হোয়াইট হাউসে যেই বসুক না কেন, তা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নয় রাশিয়া। কারণ, আণবিক চুক্তি, মিসাইল ডিল এসব বিষয়ে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট কেউই খুব একটা নির্দিষ্ট পথে থেকে সরবে না।

[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসের দোরগোড়ায় পৌঁছেও থমকে বিডেন, নিজেকে জয়ী ঘোষণা ট্রাম্পের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ