Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন

সাঁড়াশি চাপে বেজিং, দক্ষিণ চিন সাগরে আণবিক রণতরী পাঠাল আমেরিকা

দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন।

US supercarriers in South China Sea, pressure mounts on Bejing
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 4, 2020 6:57 pm
  • Updated:July 4, 2020 6:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের বিরুদ্ধে নয়া ফ্রন্ট খুলে দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সেখানে সামরিক মহড়া করবে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘USS Nimitz’ ও ‘USS Ronald Reagan’। ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে আবহে আমেরিকা নয়া ফ্রন্ট খোলায় রীতিমতো সাঁড়াশি চাপে পড়েছে বেজিং।

[আরও পড়ুন: এ কী করছে চিন! এবার রাশিয়ার শহর নিজের বলে দাবি করল বেজিং]

শেষ পাওয়া খবরের মতে, লুঝন প্রণালীতে (Luzon Strait) রযেছে মার্কিন রণতরীগুলি। বলে রাখা ভাল, তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সের লুঝন দ্বীপের মধ্যের জলরাশিকে বলা হয় লুঝন প্রণালী। এবার ফিলিপিন্স সাগরের সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরের যোগসূত্র এই প্রণালী। সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে বিতর্কিত জলসীমায় সামরিক মহড়া করে চিনের নৌসেনা (People’s Liberation Army Navy)। তারই জবাবে দু’টি ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’ পাঠিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে থাকে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারে মতো বেশ কয়েকটি রণতরী। এগুলোকে মিলিয়ে বলা হয় ‘স্ট্রাইক গ্রুপ’। যেহেতু মার্কিন রণতরীগুলি আণবিক শক্তি চালিত তাই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সাগরে থাকতে সক্ষম। পাশাপাশি, F-18 যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ‘USS Nimitz’ ও ‘USS Ronald Reagan’-এ রযেছে বিধ্বংসী মিসাইল সম্ভার।

Advertisement

Wall Street Journal-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে ‘USS Ronald Reagan’ স্ট্রাইক গ্রুপের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল জর্জ এম উইকফ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সহযোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া যে আমরা আঞ্চলিক স্থিতবস্থা নষ্ট হতে দেব না। এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য।”

Advertisement

উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ফলে ইতিমধ্যেই জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই সাগর দিয়েই প্রতিবছর ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয়। ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে এই রুটটি অত্যন্ত লাভজনক। এছাড়াও, এশিয়া মহাদেশে মার্কিন প্রভাব খর্ব করতে হলে সবার আগে দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন নৌবহরকে কাবু করতে হবে, তা ভালই জানে চিন। কিন্তু ভারত-সহ একাধিক ফ্রন্ট খুলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে লালফৌজ। এহেন সময়ে মার্কিন নৌবহরের উপস্থিতি বেজিংকে সাঁড়াশি চাপে ফেলেছে।

[আরও পড়ুন: ‘সাদা কাগজে’ মুক্তির জয়গান, চিনা শাসন উপড়ে ফেলতে চাইছে হংকং]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ