Advertisement
Advertisement

Breaking News

হোয়াইট হাউস

সম্পর্কে অবনতির ইঙ্গিত! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘আনফলো’ করল হোয়াইট হাউস

রাষ্ট্রপতি ভবনের টুইটার হ্যান্ডেলও আনফলো করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।

White House unfollows PM Modi President Kovind on Twitter
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 29, 2020 1:59 pm
  • Updated:April 29, 2020 1:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক মহলে সর্বজনবিদিত। দুই রাষ্ট্রনেতার সম্পর্কের হৃদ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন এতদিন ছিল না। এঁরা ভারত ও আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্কেরও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু হঠাৎই যেন সেই সম্পর্কে ছন্দপতন হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে আনফলো করে দিল মার্কিন প্রসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস (White House)। মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তর-সহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট ৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট আনফলো করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।

White-House

Advertisement

আশ্চর্যের বিশয় হল, সপ্তাহ তিনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-সহ এই পাঁচটি টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করা শুরু করে হোয়াইট হাউস। তখন হোয়াইট হাউসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ২১.৫ মিলিয়ন। এবং হোয়াইট হাউস ফলো করত ১৯ জনকে। সেই ১৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে আনফলো করল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন। যে হ্যান্ডেলগুলি আনফলো করা হয়েছে তাঁর মধ্যে ওয়াশিংটনে ভারতের দূতাবাস এবং ভারতে আমেরিকার দূতাবাসও রয়েছে। আপাতত হোয়াইট হাউসের ফলোয়ার সংখ্যা ২২ মিলিয়ন। এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ফলো করছে ১৩ জনকে।

Advertisement

White-house-tweet

[আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা! মার্কিন কমিশনকে তুলোধোনা ভারতের]

কাকতালীয়ভাবে এমন একদিনে এই ঘটনাটি ঘটল যেদিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে বেশ খানিকটা নামিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনটি। আমেরিকা সরকারের কাছে তারা সুপারিশ করেছে যাতে, ভারতকে ‘নির্দিষ্টভাবে সমস্যাযুক্ত’ দেশের তালিকায় রাখা হয়। এই তালিকায় পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া, চিনের মতো ১৪টি দেশ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। আর তাতেই কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তবে কি ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে? কিছুদিন আগেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ খানিকটা চাপানউতোর চলেছে। এবার হঠাৎই এভাবে মোদিকে আনফলো করার কোনও তো কারণ আছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ