Advertisement
Advertisement
করোনা WHO

উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে মৃত্যুর হার, প্রত্যাশাকে হার মানাচ্ছে করোনার ভয়াবহতা!

গোটা বিশ্বের তুলনায় মৃত্যুর হার খানিকটা কম ভারতে।

WHO says coronavirus death rate is higher than previously thought

ফাইল ফটো

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 31, 2020 10:27 am
  • Updated:March 31, 2020 10:27 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে দুটি মিথ এবার ভেঙে ফেলার সময় এসেছে। প্রথমটি হল, এই ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুর হার অন্য মহামারির তুলনায় অনেকটা কম। যা কিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই বিশ্ববাসীকে বুঝিয়েছিল। দ্বিতীয়টি হল, শুধুমাত্র বয়স্করাই এর প্রভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন। যা আম আদমির মনে বদ্ধমূল ধারণা হিসেবে গেঁথে গিয়েছে। সাম্প্রতিক রেকর্ড বলছে, এই দুটি মিথ এখন শুধু মিথ হয়েই রয়ে গিয়েছে। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।

corona Virus

Advertisement

WHO আগে দাবি করেছিল, করোনার সংক্রমণের গতির তুলনায় এতে মৃত্যুর হার একেবারেই উদ্বেগজনক নয়। করোনায় মৃত্যুর হার ২ শতাংশেরও কম। তাছাড়া ৮৫ শতাংশ আক্রান্তের মধ্যে এর প্রভাব একেবারেই নগণ্য। শুধু সচেতনতার প্রসার ঘটাতে পারলেই এই রোগকে রুখে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু, বর্তমান পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম COVID-19। করোনার (CoronaVirus) কামড়ে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৫ হাজারের কিছু বেশি। মৃত্যু হয়ছে প্রায় ৩৭ হাজার ৮০০ মানুষের। অর্থাৎ, নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় ৪.৭ থেকে ৪.৮ শতাংশ আক্রান্ত। যা রীতিমতো উদ্বেগের। অন্তত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় অনেকটা বেশি। এমাসের গোড়ার দিকে WHO সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, প্রত্যাশিত ২ শতাংশের থেকে অনেকটাই বেশি করোনার মৃত্যুর হার। চিন, আমেরিকার মতো দেশে সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুহার কম হলেও, স্পেন এবং ইটালিতে সংখ্যাটা বিপজ্জনক। তবে আশার কথা, বর্তমানে করোনার এপিসেন্টার আমেরিকাতে মৃত্যুহার এখনও ২ শতাংশের নিচে। ভারতেও মৃত্যুহার কম বেশি আড়াই শতাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকারী, গোপনে করোনা মোকাবিলার অস্ত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে চিন!]

করোনা সংক্রান্ত দ্বিতীয় মিথটি নিয়েও প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। কারণ, সাম্প্রতিককালে দেখা গিয়েছে আকছার ৪০-৫০ বছর বয়সিদের প্রাণ কাড়ছে এই মারক ভাইরাস। এমনকী ২১ বছর বয়সি এক ফুটবল কোচেরও মৃত্যু হয়েছে। WHO বলছে, যাঁদের অনাক্রম্যতা কম, বা যাঁদের অন্য কোনও সমস্যা (যেমন ডায়াবেটিস, শুগার, বা কোনও ক্রনিক রোগ) আছে, তাঁরা সবাই এই ভাইরাসের শিকার হতে পারে। সুতরাং, আমার ওতে কিছু হবে না ভেবে নিশিন্তে বাইরে ঘোরার দিন শেষ। মারক ভাইরাসের প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে একমাত্র উপায় সামাজিক দুরত্ব। সেটা বজায় রাখাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ