সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে আরও তীব্র মাদক বিরোধী অভিযান। এবার গুলিযুদ্ধে খতম পাচারচক্রের মক্ষীরানি রেহেনা আক্তার। রবিবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিকেশ হয় মাদক পাচারচক্রের ওই চাঁই।
[বাংলাদেশে ১০ দিনে নিকেশ ১০০ মাদক পাচারকারী]
জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই রেহানার খোঁজ চলছিল। অবশেষে তার ডেরার সন্ধান মেলে। তারপরই ময়মনসিংহ শহরতলির আকুয়া গন্ধপা এলাকা হানা দেয় পুলিশ। শুরু হয় গুলির লড়াই। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর উদ্ধার হয় ৩৮ বছরের রেহানার দেহ। এছাড়াও তার ভাই রুবেল ও ছোট বোন শরিফা-সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মাদক পাচারে জড়িত থাকার একাধিক মামলা রয়েছে রেহানার বিরুদ্ধে। গত ৩১ মে একই এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেবারে কোনওমতে পালিয়ে যায় রেহানা। তাই এবার পালানোর সমস্ত পথ বন্ধ করে অভিযান চালায় পুলিশ। যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে দলের লোকের হাতেই খুন হয়েছে রেহানা।
প্রায় একমাস ধরে বাংলাদেশে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। পুলিশ ও র্যাবের হাতে নিকেশ হয়েছে প্রায় ১৫০ জন সন্দেহভাজন পাচারকারী। তবে অভিযোগ, পাচারচক্রের রাঘব বোয়ালদের গায়ে আঁচ লাগেনি। সরকারের অভিসন্ধি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সদ্য মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। এদিকে ঢাকার উপর চাপ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম। মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। নির্বিচারে সন্দেহভাজন অপরাধীদের এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন।
মে মাসের ১৪ তারিখ থেকেই মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করেছে এলিট বাহিনী ব়্যাব। রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক জেলায় চলা লাগাতার হানায় নিকেশ হয়েছে একশো জনেরও বেশি সন্দেহভাজন মাদকপাচারকারী। তবে, সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ, চলতি বছরের শেষেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে আওয়ামি লিগ সরকার।
[সেন্ট্রাল জেলে মাদক পাচার মামলায় জামিন মঞ্জুর কলেজ ছাত্রীর]