সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে জাল বিছিয়েছে করোনা ভাইরাস। মানব সভ্যতার সামনে সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম COVID-19। কিন্তু জানেন কি এই COVID-19-এর প্রথম শিকার কে? কার শরীরে প্রথম বাসা বেঁধেছিল রোগটি? অবশেষে সেই মহিলার খোঁজ মিলেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ইউহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসে। ইউহানের স্থানীয় একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রথম COVID-19 ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করেন। সংক্রমণ ঠিক কবে শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, করোনায় প্রথম সংক্রমিত হন ইউহান শহরের এক চিংড়িমাছ বিক্রেতা মহিলা। নাম ওয়েই গুইশিয়ান। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে।গবেষকদের ভাষায় ইনিই হলেন করোনার ‘পেশেন্ট জিরো’। প্রথমে ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান ওয়েই। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসায় কাজ হয়নি। উলটে আরও দুর্বল হয়ে যান তিনি। তখনই তাঁর মনে হয়ছিল রোগটি সামান্য ফ্লু নয়। পড়ে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা হয় ওয়েইয়ের। মাসখানেক হাসপাতালে চিকিৎসার পরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এখনও আছেন বহাল তবিয়তে। তবে ওয়েইয়ের দাবি, করোনার মহামারিতে পরিণত হওয়ার পিছনে চিন সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী। সরকার যদি প্রথমে এর গুরুত্ব বুঝত, তাহলে হয়তো করোনা মহামারি হতো না।
[আরও পড়ুন: ‘আমি ভয় পাইনি’, বলছেন করোনা যুদ্ধে জয়ী নবতিপর বৃদ্ধা]
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের দাপট সবার প্রথমে দেখা যায় চিনের ইউহান প্রদেশে। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারক ভাইরাসটি। আপাতত চিনে এর সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রভাব মারাত্মক। ইতিমধ্যেই করোনার জেরে পৃথিবীতে প্রায় ৩১ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার। মুশকিল হল, ভাইরাসটির উৎপত্তি এবং চরিত্র সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কাছে তেমন কোনও তথ্য নেই। বিজ্ঞানীদের একটা অংশ দাবি করেন, এটি কোনও প্রাকৃতিক সংক্রমণ নয়, বরং মনুষ্য সৃষ্ট। জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চিনই ভাইরাসটি তৈরি করেছে।