পলাশ পাত্র, কৃষ্ণনগর: রাজার শহর, মাটির পুতুল, সরপুরিয়া, সরভাজা। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের অহঙ্কারের তালিকাটা লম্বা। জগদ্ধাত্রীপুজোয় তাদের গর্বের জায়গাটা আরও খানিকটা বেড়ে যায়। কারণ বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন হয়েছিল এই জনপদে। রাজ পরিবারের পুজোর পাশাপাশি আড়াইশোর বেশি সর্বজনীন পুজো এবার হচ্ছে কৃষ্ণনগরে। যার মধ্যে অন্যতম ষষ্ঠীতলা বারোয়ারি।
[কলকাতাকে টেক্কা, কালীপুজোয় রাজ্যে প্রথম কোনও কার্নিভাল সুতাহাটায়]
১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই পুজো শুরু হয়। এই হিসেব ধরলে কৃষ্ণনগর অন্যতম প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে সামনের সারিতে রয়েছে ষষ্ঠীতলা। জলঙ্গি নদীর তীরে এই এলাকায় পটুয়াদের বাস। মাতৃ আরাধনায় মূর্তিতেও সেই ছাপ মেলে। এখানে দেবীর রণংদেহি মেজাজের সঙ্গে ডাকের সাজ এবং স্বর্ণালঙ্কার একেবারে মানানসই। গত কয়েক বছরে থিমের ওপর জোর দিলেও আয়োজকরা প্রতিমার ক্ষেত্রে সাবেকি চিন্তায় বিশ্বাসী। মাতৃমূর্তির পাশাপাশি ষষ্ঠীতলার মণ্ডপও দর্শনার্থীদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। এবছর পুজোর মণ্ডপ লোকশিল্পীদের সম্মান জানিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রয়াত শিল্পী কালীকাপ্রসাদকে স্মরণ করে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। মণ্ডপের চারদিকে থাকছে অজস্র একতারা। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ আর বাঁশ। এই বিপুল কর্মকাণ্ডের জন্য পুজোর বাজেট কয়েক লক্ষ টাকা। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো মূলত নবমীর দিন হয়। তার আগে কোনও পুজো কমিটি থিম নিয়ে সেভাবে কিছু মুখ খুলতে চান না।
[যমুনা যমকে আদৌ ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন তো?]
পুজো ঘিরে এখানে একদিনের পংক্তিভোজের আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠীতলা বারোয়ারির অন্যতম কর্মকর্তা প্রদীপ সরকার বলেন, পাড়ার সকলেই এই পুজোয় অংশ নেওয়ায় তা সর্বাত্মক হয়ে ওঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.