সুকুমার সরকার, ঢাকা: ‘ভারতের অবদান ও সহযোগিতা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ’, স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। ১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। শুক্রবার তার ৪৮ তম বর্ষ উপলক্ষে ঢাকায় একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধান অতিথি আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: কোলে ৫ দিনের শিশুকন্যা, কলেজে গিয়ে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা দিলেন মা]
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। এই যুদ্ধে তিন কোটি মানুষ ঘর ছেড়েছিলেন। তাদের মধ্যে এক কোটি মানুষ ভারতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারতের এই ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আজ ৪৮ বছর পর দু’দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। দু’দেশের সোনালি সম্পর্কের মধ্যে কোনও ধরনের সমস্যা ও আতঙ্ক যেন তৈরি না হয়, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যেমন সুসম্পর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও তেমনই থাকবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, প্রতিবেশী প্রথম। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম।’
[আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এবার যুক্ত হচ্ছে ভারতও]
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান আমরা ভুলিনি। তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউর নাম ইন্দিরা গান্ধী রোড করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করব।’ বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ওই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার নেত্রী অ্যারমা দত্ত ও ব্রিটেনের মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিস।