Advertisement
Advertisement
Hindu

রোহিঙ্গারা আশ্রয় পেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত কেন? প্রশ্ন বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের

ধ্বংস হওয়া মন্দির সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

Bangladesh Hindu organization protests attack on minority community | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 18, 2021 9:34 am
  • Updated:November 18, 2021 9:34 am

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুর্গাপুজোয় হিন্দুদের উপর হামলা ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি বাংলাদেশে (Bangladesh)। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এহেন সময় অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন পরিষদ বাংলাদেশ। মায়ানমারে সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিয়েছেন। তাহলে এ দেশের আড়াই কোটি হিন্দু কেন তাদের পিতৃভূমিতে অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছে পরিষদ।

[আরও পড়ুন: পুজোমণ্ডপে বউদির কোমর দোলানো নাচ, নেটদুনিয়ায় উষ্ণতা ছড়াচ্ছে ভাইরাল ভিডিও]

দুর্গাপুজোয় কুমিল্লা জেলায় পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দেশটির সংখ্যাগুরু মুসলিম মৌলবাদীরা। রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে শুধু কুমিল্লায় ১০২টি মামলা ও আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার ৬১৯ জনকে। আর এ পর্যন্ত ৫৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে দেশের শাসকদল আওয়ামি লিগ।

Advertisement

এই সাম্প্রদায়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন পরিষদ। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী বলেন, “প্রতিবারই ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে সংখ্যালঘুদের মঠ, মন্দির, দেবালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। নিরীহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।”

Advertisement

সংবাদ সম্মেলন থেকে যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো জানানো হয়, তা হল বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ উপড়ে ফেলতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হওয়া মঠ, মন্দির, আশ্রম দেবলায়গুলি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পুনর্নির্মাণ করতে হবে। বিদেশমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর মিথ্যা মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন ঘোষণা করতে হবে।

[আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ দশক পর বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ছয় যুদ্ধাপরাধী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ