সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোভিড-১৯ (COVID-19) ঠেকাতে বাংলাদেশে দফায় দফায় জারি করা হয়েছে লকডাউন। একবছরেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন থাকাকালীন এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশবাসী (Bangladesh)। লকডাউনের মধ্যেও গণপরিবহণ চলছে, মার্কেট শপিংমল-সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে লকডাউনে কাঙ্খিত সাফল্য মেলেনি। এবার তাই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারা দেশে ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করেছিল। শুক্রবার সন্ধেয় বিবৃতি জারি করে সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিল প্রশাসন। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে শাটডাউন (Shutdown)। সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ, জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সমস্ত গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বরাতে সারা দেশে ১৪ দিনের শাটডাউনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ‘কারফিউ’ (Curfew) শব্দটি প্রয়োগের কথা বলেছিলেন। কারফিউ হোক আর শাটডাউন হোক, সারাদেশে আগামী ১৪ দিনের জন্য যানবাহন ও মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে পরিস্থিতির ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, এমনই সতর্কবার্তা ছিল কমিটির। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, দু’ সপ্তাহের শাটডাউন শুরু হলে দেশের সব কিছু বন্ধ থাকবে নাকি অন্য কোনও উপায়ে তা নিয়ন্ত্রিত হবে, সেই প্রশ্নই ঘুরছিল সকলের মনে। সন্ধেবেলা জানা গেল, অন্তত ৭ দিনের জন্য শাটডাউনের পথেই দেশ।
শুক্রবার রাতে সরকারের তরফে জানানো হয়, ২৮ জুন সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে শাটডাউন। এই সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বেরতে পারবেন না। তথ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে সাতদিনের জন্য এই বিশেষ লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। কীসে কীসে ছাড়, তাও জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সংবাদমাধ্যমকে এই শাটডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ রুখতে এই ক্ষেত্রে ভারতের দিল্লি ও মুম্বইয়ের সাফল্যের চিত্র দেখেই এই পথে হেঁটেছে হাসিনা (Sheikj Hasina) প্রশাসন। এমনই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.