Advertisement
Advertisement

Breaking News

corona

‘আগস্ট মাসেই বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে’, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

গত ১৬ দিনে ৫০ হাজার মানুষের শরীরে এই মারণ ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।

Covid-19 Cases In Bangladesh Likely To Peak In August, said experts

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 21, 2020 2:11 pm
  • Updated:June 21, 2020 2:11 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৮ মার্চ। তারপর থেকে মাত্র ১০৪ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে আরও দেড় মাসের মতো লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মার্চে প্রথম করোনা (Corona) রোগী শনাক্তের পর কয়েকদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক অঙ্কের ঘরে। তখন নুমনা হারও ছিল বেশ কম। পরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শনাক্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রথম রোগী খুঁজে পাওয়ার প্রায় এক মাসের মাথায় গত ৯ এপ্রিল একদিনে শতাধিক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরও প্রায় এক মাস পর গত ১১ মে একদিনে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ায়। এভাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায় গত ২ জুন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের মারণ কামড় করোনার, বাংলাদেশে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কামাল লোহানি]

অর্থাৎ বাকি ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে শেষ ১৬ দিনে। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এভাবেই বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিখরে পৌছবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ‘জুন মাসের শুরু থেকেই গ্রাফটা সোজা ওপরে উঠছে। এটা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে থাকবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষ ২০টি দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে ও বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ আক্রান্ত এখন ভারতে। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষে পৌঁছাতে যেখানে সময় লেগেছিল ১০৯ দিন, সেখানে বাংলাদেশে লেগেছে আরও কম। ইটালি ও ব্রাজিলের কয়েকটি শহরে যেভাবে সংক্রমণের বিস্ফোরণ দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশেও কোনও একটি জনপদে তেমন ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আরেক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে স্বল্প আয়ের মানুষেরা গাদাগাদি করে বসবাস করেন। এমন পরিবেশে আক্রান্তের সংখ্যায় বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়, অনেকটা ব্রাজিলের সাও পাওলো বা রিও ডি জেনিরোতে যেমনটা দেখা গিয়েছে।’

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩২৪০, মৃত ৩৭]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ