BREAKING
সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিন দিনের ব্যবধানে ফের কয়েক দফা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন চত্বর। রবিবার সকালে ঘটা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জানা যায়নি বিস্ফোরণের কারণও।
এপ্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের অনুমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের গন্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আসলে একটি বিশেষ মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। এই ঘটনা তারই ফলশ্রূতি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের সম্পর্কে কিছু জানা গেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[আরও পড়ুন: ‘বিতর্কিত’ নেতাকে টিকিট নয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে বিচক্ষণ আওয়ামি লিগ]
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিবার সকাল পৌনে ১০টার পর মধুর ক্যান্টিনের সামনে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয় বলে জানান নিউ মার্কেট ফাঁড়ি থানার এসআই মহম্মদ রইচউদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কালো টেপ মোড়ানো ছিন্নভিন্ন কিছু টুকরো পাওয়া গিয়েছে। তবে এই বিস্ফোরণের ফলে কেউ হতাহত হননি। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বরও মধুর ক্যান্টিনের সামনে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই ঘটনার পাশাপাশি আজকের ঘটনারও তদন্ত করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(Dhaka University) কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কেউ কেউ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যা ঘটছে তার জন্য আমরা মর্মাহত। সবাই খুব চিন্তার মধ্যেও রয়েছি।
[আরও পড়ুন: ভাঙা হচ্ছে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি, প্রতিবাদে সরব বাংলাদেশের সাহিত্যিক মহল]
অন্যদিকে আজ দুপুরেই ঢাকার নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থল থেকে আরও তিনটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। এপ্রসঙ্গে মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মহম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে করে দু’ব্যক্তি এসে বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এর ফলে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
